গাজায় ২৪ ঘণ্টায় নিহত আরও ৫২


ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় অব্যাহত ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রাণহানির ঘটনায় জাতিসংঘ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলেছে। সংস্থাটি বলছে, “ইসরায়েল একটির পর একটি যুদ্ধাপরাধ করছে।”
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজা শহরের বাসিন্দাদের অবিলম্বে এলাকা ছেড়ে যেতে হুমকি দিয়েছেন। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দিনভর ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে আরও কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে শিশু রয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক অভিযোগ করেন, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক মানুষকে টার্গেট করছে এবং জীবনরক্ষাকারী সহায়তা সরবরাহ বাধাগ্রস্ত করছে। তিনি বলেন, “গাজার ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা বিশ্বের বিবেককে নাড়া দিচ্ছে।”
ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্সের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫০টিরও বেশি ভবন ধ্বংস এবং ১০০টির ক্ষতি হয়েছে। বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর শিবিরসংলগ্ন এলাকাও হামলার নিশানায় পরিণত হয়েছে।
গাজা শহর থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক জানান, “একটির পর একটি সুউচ্চ ভবন ভেঙে পড়তে দেখা হৃদয়বিদারক। এগুলো শুধু ভবন নয়, মানুষের বেঁচে থাকার জরুরি সেবাগুলোও ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।”
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, সোমবার নিহতদের মধ্যে ৩২ জন ছিলেন গাজা শহরের বাসিন্দা। ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে দুজন শিশু। ইসরায়েলের অব্যাহত অবরোধ ও সাহায্য ঠেকিয়ে দেওয়ায় এ মানবিক বিপর্যয় গভীর হচ্ছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ফিলিস্তিনি সাংবাদিক ওসামা বালউশাও রয়েছেন। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় প্রায় ২৫০ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন-যারা সবাই ফিলিস্তিনি। বিদেশি সাংবাদিকদের গাজায় প্রবেশে ইসরায়েল নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় এটিকে আধুনিক ইতিহাসের সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, উত্তর গাজায় একটি ট্যাংকের নিচে পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে তাদের চার সেনা নিহত হয়েছে।
ভিওডি বাংলা/জা