দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক


মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ১০ কাঠা প্লট নেওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে আদালত।
১০ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহিম মিয়া দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে তাকে গ্রেপ্তার দেখান। একই দিন কারাগার থেকে তাকে আদালতে হাজির করা হয় এবং শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার বাদী ছিলেন দুদকের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন। খায়রুল হকসহ মামলায় মোট আটজনকে আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন-রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদা, সদস্য (অর্থ ও এস্টেট) আ.ই.ম. গোলাম কিবরিয়া, সদস্য মো. আবু বক্কার সিকদার, সদস্য (পরিকল্পনা) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সিকদার, সদস্য (এস্টেট) আখতার হোসেন ভুঁইয়া, সাবেক যুগ্ম সচিব ও সদস্য (উন্নয়ন) এম. মাহবুবুল আলম এবং সদস্য (প্রশাসন ও ভূমি) নাজমুল হাই।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, সাবেক প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন সময়ে খায়রুল হক ২ নম্বর শিক্ষা সম্প্রসারণ সড়কে (নায়েম রোড) পৌনে ১৮ কাঠা জমিতে ৬ তলা পৈতৃক বাড়ির ওপর মিথ্যা তথ্য দিয়ে ১০ কাঠা প্লট বরাদ্দ পান। তিনি রাজউকের প্রচলিত নীতিমালা ভঙ্গ করে, সুদসহ কিস্তি জমা দিতে দেরি করেন এবং সরকারের চার লাখ ৭৪ হাজার ২৪০ টাকা ক্ষতিসাধন করেন।
এর আগে ২৪ জুলাই ধানমন্ডির বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং বিভিন্ন মামলা নিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে যুবদল কর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলা, দুর্নীতি ও বেআইনি রায় প্রদানের অভিযোগ।
ভিওডি বাংলা/জা