ইবিতে তালিকাবহির্ভূত সংগঠনের কর্মসূচি নিরুৎসাহিতকরণ, শিবিরের প্রতিবাদ


ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্র-উপদেষ্টা অফিসে তালিকাভূক্ত সংগঠন ব্যতীত ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে অন্য সকল সংগঠনের যে কোনো কর্মসূচি পালনে নিরুৎসাহিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ বিষয়ে জানা গেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে শাখা ছাত্রশিবিরের ফেসবুক পেজে সভাপতি মু. মাহমুদুল হাসান ও সেক্রেটারি ইউসুফ আলী একটি যৌথ বিবৃতিতে প্রকাশ করেন।
প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা অফিসে তালিকাভূক্ত সংগঠন ব্যতীত অন্য কোনো সংগঠন বা সমিতির নামে ক্যাম্পাসে কোনো প্রকার সভা, সমাবেশ, মানববন্ধন বা অন্য কোনো কর্মসূচি পালন না করতে পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন।
তবে, তালিকাভূক্ত হতে চাইলে উক্ত সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদের তালিকা, গঠনতন্ত্র ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি সংগঠনটির উপদেষ্টা পরিষদের স্বাক্ষরসহ ছাত্র-উপদেষ্টা অফিসে জমা দিতে হবে।
শাখা ছাত্রশিবিরের যৌথ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, “আমরা মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো মুক্ত জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রে এমন নিষেধাজ্ঞা বাকস্বাধীনতা ও সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। এটি শিক্ষার্থীদের কণ্ঠরোধ করার একটি সুস্পষ্ট অপপ্রয়াস। এই ধরনের সিদ্ধান্ত কেবল শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক কার্যক্রমকেই বাধাগ্রস্ত করবে না, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক পরিবেশকেও নষ্ট করবে।”
তারা অবিলম্বে এই বিতর্কিত বিজ্ঞপ্তিটি প্রত্যাহারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল ইসলাম জানান, "অনেক সময় প্রশাসনকে আগে থেকে না জানিয়ে হুট করে যদি প্রশাসন ভবন ঘেরাও করা বা গেটে তালা দিতে দেখা যায়। কিন্তু এগুলোর একটা ধারাবাহিকতা আছে, এর প্রথম পর্যায়ে তারা ছাত্র উপদেষ্টার অফিসে যোগাযোগ করবে, অনেক ক্ষেত্রে সেখান থেকেই তারা সমাধান পেয়ে যেতে পারে।"
তিনি বলেন, "নাম ছাড়া কোন সংগঠন বা হঠাৎ করে সঙ্ঘবদ্ধ কোন দলকে এমন প্রোগ্রাম করার জন্য নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। যদি কেউ করতে চাই তাহলে আগে থেকে আমাদের জানালে, ছাত্র-উপদেষ্টা হয়ে আমরা যদি বিষয়টি সমাধান করতে পারি। প্রাথমিক স্তর হিসেবে তাদেরকে ছাত্র উপদেষ্টার অফিসের সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সেই জায়গা থেকে আমরা চাচ্ছি যে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে এই কার্যক্রম গুলা হোক। এখানে নিষিদ্ধ করা হলো এমন কোন কথা বলা হয়নি বরং পরামর্শ দেয়া হয়েছে। যদি কেউ সংগঠন খুলতে চাই তাহলে তাদের জন্য এই পন্থা দেয়া হলো।"
ছাত্র-উপদেষ্টা আরো বলেন, "ক্যাম্পাসের কল্যাণে অনেক সংগঠন আছে। কেউ যদি নতুন কোনো সংগঠন করতে চাই সেক্ষেত্রে কোন বাধা নেই, আমরা তাদের কার্যক্রম দেখব তারপর তাদের সমর্থন করব। যদি তাদের তালিকা গুলো আমাদের কাছে থাকে, তাহলে তাদের কোন সুবিধা অসুবিধা আমরা তাদের খুঁজে পাবো আবার তারাও আমাদের খুঁজে পাবে। কিন্তু হঠাৎ করে যদি ঝটিকা মিছিল করে আজ এক নামে, তো কাল অন্য নামে, তাহলে একটি বিশৃঙ্খল পরিবেশ হয়ে যায়।"
শাখা ছাত্রশিবিরের বিবৃতির বিষয়ে বলা হলে তিনি বলেন, "সাংগঠনিক ভাবে তারা যদি এটাকে নিরুৎসাহিত করে তাদের সে অধিকার আছে।তারা কোন দৃষ্টিভঙ্গির থেকে মন্তব্যটি করেছে সে বিষয়ে যদি কোন স্মারকলিপি দেয় তাহলে তার জাবান দিতে পারি।"
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ