ধনীদের তালিকায় আবারও শীর্ষে ইলন মাস্ক


বিশ্বের শীর্ষ ধনীর আসনে আবারও ফিরে এসেছেন টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। দিনের শুরুতে কিছু সময়ের জন্য শীর্ষে ছিলেন ওরাকলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন, যাঁর সম্পদ দাঁড়ায় ৩৯৩ বিলিয়ন ডলার। মাস্কের সম্পদ ছিল ৩৮৫ বিলিয়ন ডলার। এলিসনের শেয়ারদর একলাফে ৪০ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় তার সম্পদ হঠাৎ বৃদ্ধি পায়, তবে দিনের শেষে শেয়ারদরের কিছুটা পতনের কারণে মাস্ক আবার শীর্ষে চলে আসেন।
এক বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির খেতাব ধরে রেখেছেন মাস্ক। সম্প্রতি টেসলার শেয়ারদর কিছুটা কমে যাওয়ায় তাঁর সম্পদমূল্য হ্রাস পায়। বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে বিনিয়োগকারীদের অনিশ্চয়তা এবং মাস্কের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এ পতনের অন্যতম কারণ।
অন্যদিকে ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ব্যবসার দ্রুত বৃদ্ধিতে ওরাকল নতুন গতিতে এগোচ্ছে। কোম্পানির প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এ বছর তাদের ক্লাউড ব্যবসার আয় ৭৭ শতাংশ বেড়ে ১৮ বিলিয়ন ডলার পৌঁছাবে। এআইকেন্দ্রিক কোম্পানিগুলোর চাহিদা বৃদ্ধিই এর প্রধান কারণ।
১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ওরাকলের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যান ল্যারি এলিসন দীর্ঘদিন ধরে প্রযুক্তি ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নাম করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবেও পরিচিত। সম্প্রতি এলিসনের ছেলে ডেভিডের নেতৃত্বে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলারে প্যারামাউন্ট অধিগ্রহণের চুক্তিও চূড়ান্ত হয়েছে।
বিশ্বের প্রথম লাখকোটিপতি হতে পারেন মাস্ক। গবেষণা সংস্থা ইনফরমা কানেক্ট একাডেমি জানিয়েছে, ২০২৭ সালের মধ্যে মাস্ক ট্রিলিয়নিয়ার অর্থাৎ এক লাখ কোটি ডলারের মালিক হতে পারেন। প্রতিবছর গড়ে ১১০ শতাংশ হারে তার সম্পদ বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বিশ্বে প্রথম লাখকোটিপতি হবার সম্ভাবনা উঁচু।
এতে প্রতিদ্বন্দ্বী নেই এমন নয়। এনভিডিয়ার সিইও জেনসেন হুয়াং ২০২৮ সালের মধ্যে ট্রিলিয়নিয়ার হতে পারেন। বর্তমানে তার সম্পদ ১৫৪ বিলিয়ন ডলার।
২০২৪ সালের শেষের দিকে মাস্ক নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় তার সম্পদ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। নির্বাচনের পর কিছুটা পতনের পরও তিনি বিশ্বের শীর্ষ ধনীর আসনে প্রায় অটল।
ভিওডি বাংলা/জা