বরিশালে ছাত্রদল-শিবির সংঘর্ষে আহত ১৫


বরিশালের মুলাদীতে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মুলাদী সরকারি কলেজ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
ছাত্রশিবিরে নবীনবরণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলাকালে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা বাঁধা দেয়। এর প্রতিবাদ করেন ছাত্রশিবির নেতারা। পরে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে উপজেলা ও কলেজ ছাত্রদল নেতাকর্মীরা ছাত্রশিবিরের ওপর হামলা করলে সংঘর্ষ হয়।
উপজেলা ছাত্রশিবির সভাপতি মো. হামীম হোসেন জানান, সংঘর্ষে কলেজ ছাত্রশিবির সভাপতি আব্দুল্লাহ ইসলামসহ কমপক্ষে ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
তবে ছাত্রশিবিরের ওপর হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন উপজেলা ছাত্রদল আহ্বায়ক মহিউদ্দিন ঢালী। তার দাবি, ছাত্রশিবির নেতাকর্মীরা ছাত্রদলের ৪-৫ নেতাকর্মীকে কলেজ থেকে বের করে দেওয়ায় চেষ্টা ও তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করলে দুইপক্ষের হাতাহাতি হয়। পরে বিষয়টি সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় রূপ নেয়। এতে ছাত্রদলের ৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় মুলাদী সরকারি কলেজ ও খাদ্যগুদাম সড়ক এলাকায় আতঙ্ক ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বেলা ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. হামীম হোসেন জানান, আগামী ২১ সেপ্টেম্বর মুলাদী সরকারি কলেজে নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য নবীনবরণের প্রস্তুতি নেয় কলেজ ছাত্রশিবির। বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে কলেজ ছাত্রশিবির সভাপতি আব্দুল্লাহ ইসলাম নেতাকর্মী নিয়ে কলেজ চত্বরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। ওই সময় কলেজ ছাত্রদল সভাপতি রিফাত মল্লিক তাদের বাঁধা দেন এবং কলেজ শিবির সভাপতি আব্দুল্লাকে ছাত্রলীগের ছায়াতলে থাকা গুপ্তকর্মী আখ্যা দিয়ে তাদের কর্মসূচি পালন করতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে কলেজ শাখা ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলের মধ্যে কথার কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। সংবাদ পেয়ে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব জুলফিকার আহমেদ বিল্লালসহ ছাত্রদলে নেতাকর্মীরা কলেজে ঢুকে ছাত্রশিবির নেতাকর্মীদের এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন। এ সময় কলেজ ছাত্রশিবির সভাপতি আব্দুল্লাহ ইসলাম, সেক্রেটারি জাহিদ হোসেন মান্না, উপজেলা ছাত্রশিবির দাওয়া সম্পাদক মো. রাকিব হোসেন, কলেজ ছাত্রশিবির কর্মী শারাফত সরদার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি বায়জিদ হোসেনসহ কমপক্ষে ১০জন আহত হন।
উপজেলা ছাত্রদল আহ্বায়ক মহিউদ্দিন ঢালী বলেন, ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা কলেজ ছাত্রদল সভাপতি রিফাত মল্লিকসহ ৪-৫ জনকে কলেজ থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করেন। এতে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ করলে দুইপক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে কলেজ ছাত্রদলের সহসভাপতি ইয়ামিন হোসেনসহ কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, কলেজ ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সংবাদ পেয়ে পুলিশ কলেজ চত্বর ও খাদ্যগুদাম সড়কে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ