নেপালে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগে জটিলতা


নেপালে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাউডেল ও প্রস্তাবিত প্রধানমন্ত্রী, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কী-এর মধ্যে। মূল বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু: সংসদ ভাঙার ক্ষমতা কার হাতে থাকবে।
রাষ্ট্রপতি ইতিমধ্যেই কার্কীকে প্রধানমন্ত্রী করার আশ্বাস দিয়েছেন, তবে শর্ত রেখেছেন যে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে সংসদ ভাঙা ও নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে। তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য সংসদ সদস্য হওয়া বাধ্যতামূলক নয়; ধারা ৬১(৪) অনুযায়ী সরাসরি নিয়োগ সম্ভব।
কিন্তু কার্কী তার শর্তে বলেন, “আগে রাষ্ট্রপতি সংসদ ভাঙুন, তারপর আমি প্রধানমন্ত্রী হব।” রাষ্ট্রপতি জানান, একতরফাভাবে সংসদ ভাঙা সম্ভব নয়; এটি কেবল প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশে করা যায়। রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, “আমি সংসদ ভাঙার পক্ষে নই। অতীতে বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারীও প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে সংসদ ভেঙেছিলেন, তখনও আমি বিরোধিতা করেছিলাম।”
দ্বন্দ্বের কারণে কার্কী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রক্রিয়া দেরিতে হচ্ছে।
কার্কীর সম্ভাব্য সরকার
যদি কার্কী প্রধানমন্ত্রী হন, তার মূল কাজ হবে নির্বাচনের আয়োজন। এছাড়া, ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বরের জেনজি প্রজন্ম আন্দোলনের ঘটনায় তদন্ত, দুর্নীতি অনুসন্ধান এবং নেতাদের সম্পত্তি খতিয়ে দেখাও তার সরকারের পরিকল্পনায় থাকবে।
রাষ্ট্রপতি পাউডেল সম্প্রতি সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগ্দেল ও কার্কীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। শুরুতে দলগুলো সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে নতুন প্রধানমন্ত্রী চাইছিল, কিন্তু সেনা ও রাষ্ট্রপতি তা অস্বীকার করায় জেনজি প্রজন্মের প্রতিনিধিকে প্রধানমন্ত্রী করার দাবি উঠে। বর্তমানে সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।
জেনজি প্রজন্মের আন্দোলনের কারণে কেপি শর্মা ওলি গত ৯ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেছিলেন।
ভিওডি বাংলা/জা