• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

অসুস্থতার খোঁজ নেওয়ায় কৃতজ্ঞতা স্বীকার শিমুল বিশ্বাসের

নিজস্ব প্রতিবেদক    ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৩ পি.এম.
শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। ছবি: সংগৃহীত

গুরুতর অসুস্হ হয়ে ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্হায় আমাকে রাজনীতিবিদ সহ সমাজের নানা স্তরের পরিচিত ও অপরিচিত অনেক মানুষ দেখতে এসেছে এবং ফোনে আমার চিকিৎসার খোঁজ খবর নিচ্ছেন। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। বিশেষ করে দূর-দূরান্ত থেকে  অসংখ্য সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মী প্রতিদিন দেখতে আসছে। কমিউনিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভিজিটরের বাড়তি চাপ ধর্য‍্যেরসাথে মোকাবিলা করেছে । কমিউনিটি হসপিটাল কর্তৃপক্ষ, ডাঃ আব্দুল মালেকের নেতৃত্বে চিকিৎসকবৃন্দ, নার্স এমনকি পরিচ্ছন্ন কর্মীদের অনন্য মানবিক গুণাবলি আমাকে মুগ্ধ করেছে।

সুহৃদ দর্শনার্থীদের অনেকেই বিদেশে অথবা দেশের ভিতর উন্নত মানের হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন।

মগবাজার ওয়ারলেস বস্তির সন্নিকটে, রেললাইনের ধারে, গলির মুখে তীব্র ভীর ও জটলা ঠেলে হাসপাতালে প্রবেশ করা ভিজিটরদের মধ্যে অনেকেই বিষ্ময় প্রকাশ করেন! তাদের জিজ্ঞাসা সুযোগ থাকা সত্ত্বেও অন্য কোথাও যাচ্ছি না কেন? কৌতুহল বশতঃ অনেকেই জানতে চান ঢাকার নাম করা সব হাসপাতাল থাকতে আমি কেন কমিউনিটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি।

অনেকেই হয়তো জানেন না যে এই হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা একজন খ‍্যাতিমান চিকিৎসক। প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ কাজী কামরুজ্জামান সত‍্যিকার অর্থেই একজন মানবদরদী খাটি মনের মানুষ ও রনাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা। কমিউনিটি হাসপাতালে দেশের অন‍্য যে কোনো হাসপাতালের তুলনায় চিকিৎসা ব‍্যায় অনেক সাশ্রয়ী। যে কোনো টেস্টে স্বল্প ব‍্যায়, ক‍্যান্টিনে ছাত্র, ছাত্রী ও ষ্টাফদের ৪০ টাকা ও রোগীর দর্শনার্থীদের ৭০ টাকায় মানসম্মত খাবার দেওয়া হয়। বিশেষ করে সাশ্রয়ী মূল্যে চিকিৎসা সেবা পাওয়ায় প্রতিদিন ঢাকাসহ দূর-দূরান্ত থেকে প্রচুর মানুষ এই হাসপাতালে আসে। কমিউনিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঢাকা মহানগরসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রায় ৩৫ টি কমিউনিটি মেডিকেল সেন্টার পরিচালনা করছে। 

এই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশে আর্সেনিক মুক্ত নিরাপদ পানীয় জলের ব্যবহারে সচেতনতা সৃষ্টিতে কার্যকর ভূমিকা রাখছে।সর্বোপরি স্বাস্থ্যসেবা যে বানিজ্য নয় এই নীতিটি অনুসরণ করে কমিউনিটি হাসপাতাল পরিচালিত হচ্ছে।

প্রফেসর ডাঃ কাজী কামরুজ্জামান মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নে এফআরসিএস চূডান্ত পর্বের পরীক্ষা ফেলে তিনি ও তাঁর অন্য বন্ধুরা মিলে ইংল‍্যান্ড থেকে ভারতে গিয়ে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। অন‍ন‍্য তিনবন্ধু ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ডাঃ মাহমুদুর রহমান ও ডাঃ কাজী কামরুজ্জামান ভারতে গিয়ে স্ব-উদ্যোগে জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এমএজি ওসমানী ও জেনারেল খালেদ মোশাররফের সাথে সাক্ষাত করেন।

পরবর্তীতে তাদের সহযোগিতায় মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নে প্রাথমিকভাবে  ভারতের ত্রিপুরায় মুক্তিযুদ্ধ ফিল্ড হাসপাতাল গড়ে তোলেন।যুদ্ধকালীন পুরো সময় তিন বন্ধু রনাঙ্গনে ফিল্ড হাসপাতাল পরিচালনা  করেন। যুদ্ধ বিজয় শেষে তিনবন্ধু মিলে ঢাকার অদূরে প্রথম গনস্বাস্হ‍্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। গরীব দেশে গরীব মানুষের জন্য স্বল্প ব‍্যায়ে স্বাস্হ‍্যসেবা সহজ ও জনগনের দোরগোডায় পৌছে দেওয়ার জন্য তিনবন্ধু জীবন মরণ পরিশ্রম করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ হন। ঘটনাক্রমে এই তিনজনের সাথেই আমার গভীর সম্পর্ক। আমি নিজেও মানুষের  অধিকার প্রতিষ্ঠার ব্রত নিয়ে চলা একজন মানুষ। আমি সাধারণ মানুষের কাতারে থাকতেই বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করি।

বাংলাদেশের সাবেক  প্রধানমন্ত্রী ও দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রীর বিশেষ সহকারী হিসেবে কাজ করার সুবাদে ক্ষমতাবান অনেকের সাথেই ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠেছে। চাইলেই তারা সহযোগিতা করবে।দেশের সাধারণ মানুষের আস্তা ও ভরসার কেন্দ্রস্হল  আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী হিসেবে সাধারণ মানুষের আকাঙ্খার প্রতি যথাসাধ্য সন্মান ও অনুগত থাকার চেষ্টা করি।পাশাপাশি জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সমন্বয়কের দ্বায়িত্ব পালন করায় শ্রমিকশ্রেনী তথা গরীব মানুষের মতামতও বিবেচনায় নিয়ে কাজ করতে হয়। 

অসংখ‍্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ মানুষ প্রতিদিন চিকিৎসার খোজখরব নিতে হাসপাতালে আসছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, সিনিয়র আইনজীবী জয়নাল আবেদীন, বিএনপির  যুগ্ম মহাসচিব ডাকসুর সাবেক জিএস খাইরুল কবির খোকন, হাবিবুন্নবী সোহেল, এ‍্যাড, আব্দুস সালাম আজাদ, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহব্বায়ক আমিনুল হক, আব্দুল কাইয়ুমসহ নেতৃবৃন্দ, দক্ষিণের রফিকুল আলম মজ্নু, তানভীর রবিনসহ নেতৃবৃন্দ, ড‍্যাবের নবনির্বাচিত সভাপতি ডাঃ রফিক মহাসচিব ডাঃ শাকিল, স্বাস্হ‍্য সম্পাদক ডাঃ রফিকুল ইসলাম , ডাঃ শামীম, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ লুৎফর রহমান, ডাঃ মনোয়ারুল কবির বিটুসহ পিজি ও ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎকবৃন্দ , পাবনা জেলা বিএনপির আহব্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, কৃষিবিদ তুহিন, মাসুদ খন্দকার, সেলিম রেজা হাবিব, আনোয়ারুল ইসলাম, ব‍্যারিষ্টার সাইফুরসহ নেতৃবৃন্দ।পাবনা জেলা জামাতের নায়েবে আমীর ইকবাল হোসেনসহ নেতৃবৃন্দ, পাবনা জেলা জাসদের কবির হোসেনসহ অনান‍্য দলের নেতৃবৃন্দ, প্রবীন বামপন্হী নেতা কমরেড টিপু বিশ্বাস, পাবনা প্রেস ক্লাবের সেক্রেটারী জহুরুল ইসলামসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।পাবনা চেম্বার, পাবনা মোটর মালিক, ট্রাক মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, পাবনার পাইকারী ও ক্ষুদ্র  ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ, চাঁদপুর জেলা বিএনপি সভাপতি ফরিদ হোসেন মানিক , রাজশাহী বিভাগীয় সাংগাঠনিক সম্পাদক শাহিন শওকত, সহ সাংগাঠনিক আমিরুল ইসলাম আলীম, ওবাইদুর রহমান চন্দন, রাজশাহী জেলা ও মহানগর বিএনপির প্রফেসর বিশ্বনাথ সরকার ও শফিকুল ইসলাম মিলনসহ নেতৃবৃন্দ। সাবেকমন্ত্রী নাটোরের রুহুল কুদ্দুস দুলু, ফারজানা পুতুল, তাইফুল ইসলাম টিপু, প্রখ্যাত সাংবাদিক শফিক রেহমান বাসসের চেয়ারম্যান আনোয়ার আলদিন, সৈয়দ আবদাল, সাইয়েদ আব্দুল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, কবি আবু সালেহ, নাজমুল হক নান্নুর নেতৃত্বে ভাসানী পরিষদের নেতৃবৃন্দ , মহিলা দল, মুক্তিযোদ্ধা দল, জাসাসের নেতৃত্বে শিল্পী কলাকুশলীবৃন্দ।  শিল্প ও গনপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্ঠা  সৈয়দ তৈয়ব, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের বিশেষ সহকারী মুনির হায়দার হাসপাতালে দেখতে আসেন। যোগাযোগ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের খোদাবক্স চৌধুরীসহ উপদেষ্টাগণ খোঁজ নেন।সামরিক বাহিনীর সাবেক জেনারেল, জেনারেল নজরুল ইসলাম, জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার, সরকারের সচিব ও বিভিন্ন পর্যায়ের সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ,  পরিবহণ সেক্টরের মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সামাজিক প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ থেকে সাধারণ শ্রমিকরা হাসপাতালে সরাসরি আসছেন।

তরুণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, শহীদ তিতুমীর কলেজের ছাত্ররাও দেখতে আসছেন। 

ফোন করে চিকিৎসার খোঁজখবর রাখছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জননেতা তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা আলমগীর, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।এটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসক টিমের প্রধান প্রফেসর এএফএম সিদ্দিকী নিয়মিত খোজখবর নিচ্ছেন। রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের পাশাপাশি অসংখ্য সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ হাসপাতালে আসছে ও খোজখবর রাখছে।

এত ব‍্যস্ততার মধ‍্য আপনারা যারা প্রতিনিয়ত খোঁজ খবর নিচ্ছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শুভ কামনা জ্ঞাপন করছি। আপনাদের দোয়া আমার চলার পথের পাথেয় ।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
এনসিপিতে যোগ দিচ্ছেন মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ
এনসিপিতে যোগ দিচ্ছেন মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ
আরও হামলার আশঙ্কা করছি: মির্জা ফখরুল
আরও হামলার আশঙ্কা করছি: মির্জা ফখরুল
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন মোশাররফ হোসেন
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন মোশাররফ হোসেন