ইবিতে ইয়াস সাইন্টিফিক ইভেন্ট-২০২৫ অনুষ্ঠিত


ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ইয়াস সাইন্টিফিক ইভেন্ট- ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে বাংলাদেশের একমাত্র "আন্তর্জাতিক কৃষি ও সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞান ভিত্তিক ছাত্র সংগঠন" ইয়াস বাংলাদেশের উদ্যোগে 'কৃষি উদ্যোগ: কৃষি-নেতৃত্বে শিক্ষার্থী' কর্মশালা আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু হেনা মোস্তফা জামালের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম ও জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বাবলী সাবিনা আজহার। এছাড়া, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান-সহ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ প্রমুখ।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, ইয়াস বাংলাদেশ জাতীয় পরিচালক মো. ইসরাফিল হোসেন এবং সদস্যপদ কর্মকর্তা মো. তামিম রাজ, ইয়াস বিশ্ব যোগাযোগের সভাপতি এস এম রিয়াজ-উস সালেহীন এবং নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের প্রধান জান্নাতুল ফেরদৌসি মিতি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইয়াস বাংলাদেশের স্থানীয় পরিচালক হাসান ও ইবি ইয়াস প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং ইয়াস বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ-সহ ইয়াস বাংলাদেশ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বাংলাদেশে যে পরিমাণ হাইব্রিড ফসল উৎপাদন হচ্ছে সেটা যদি না হতো তাহলে বাংলাদেশের মানুষ না খেয়ে মরত। দিনের পর দিন জমি থেকে আমরা অধিক ফসল উৎপাদনের চেষ্টা করছি কিন্তু জনসংখ্যার সাথে পেরে উঠতে পারছি না। আমাদের রিসার্চগুলো মাঠ পর্যায়ে করতে হবে তাহলে কৃষি সম্প্রসারণ হবে, উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। ফলে আমাদের খাদ্য সংকট কমে গেলে ক্ষুধা নিবারন হবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলো এবিষয়ে কাজ করতে পারে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, ‘আপনারা জানেন পৃথিবীতে এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লব চলছে কিন্তু আমরা বিপ্লবের কিয়দংশ স্পর্শ করতে পারিনি। আমাদের দেশে দরিদ্র, হতদরিদ্র, শিক্ষিত, অর্ধ শিক্ষিত কারো কাছেই তৃতীয় শিল্প বিপ্লবের সুফল নিশ্চিত করতে পারেনি। শিক্ষার অনগ্রসরতা, কারিকুলামে অপূর্ণাঙ্গতা ও গবেষণায় অব্যবস্থাপনা ও আর্থিক দৈন্যতার কারনে আমাদের সমাজ আজও শিল্প বিপ্লব থেকে পিছিয়ে।
তিনি আরও বলেন, প্রডাক্ট এবং সাপ্লাই চাহিদার উপর নির্ভর করে। জনসংখ্যা আনুপাতিক হারে বাড়ছে না বরং অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্থান এবং খাদ্য উভয়ই সংকট। মাছে ভাতে বাঙালির অধিকাংশ পুকুরই আজ ভরাট হয়ে গেছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরে বছরে বছরে লাশের উদ্ভব হয় কিন্তু মাছ চাষ হয় না। বাংলাদেশের সকল মৃত পুকুর নদী জমি পুনরুদ্ধার করতে না পারলে আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না।
গবেষণার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা কৃষি বিপ্লবের জন্য কাজ করুন। জাতি আপনাকে অনেক কিছুই দিচ্ছে। সুতরাং জাতিকে অনেক কিছু দিতে হবে। ইয়াস বাংলাদেশের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাই উত্তরোত্তর কৃষি বিপ্লবে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।’
প্রসঙ্গত, কৃষি মাটিতে নাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়া: নাইট্রোজেন চক্রের উপর কীটনাশক এবং সারের প্রভাব" বিষয়ে বিস্তর আলোচনা রাখেন অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান। এবং পরবর্তীতে "ডিগ্রির বাইরে আপনার মানসিকতা তৈরি করুন" বিষয়ে জাতীয় কৌশলগত উপদেষ্টা প্লাবন সাহা বক্তব্য প্রদান করেন। পাশাপাশি কুইজ প্রতিযোগিতা ও পোস্টার প্রেজেন্টেশন-সহ সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ