বাস ভাঙচুরে ইবি'র পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার


ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রধান ফটকে বাস ভাঙচুরের ঘটনায় পাঁচ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এদের মধ্যে দুইজনকে এক বছর এবং বাকি তিনজনকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত পৃথক তিনটি অফিস আদেশে এ তথ্য জানা যায়।
গত ২৮ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭০তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এক বছরের জন্য বহিষ্কৃত দুই শিক্ষার্থী হলেন বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শাহরিয়ার নাজিম ও মার্কেটিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মোস্তাফিজুর রহমান সায়েম। অপর দিকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন মার্কেটিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের আব্দুল মান্নান লুমান, সৈয়দ সাজিদ হোসেন ও তাকবির হাসান হৃদয়।
জানা যায়, গত ২২ জানুয়ারি রাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এসবি পরিবহনের একটি বাসের সুপারভাইজারের খারাপ ব্যবহারের অভিযোগে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে শিক্ষার্থীরা বাসটি আটক করে। পরে আটক থাকা অবস্থায় কয়েকজন শিক্ষার্থী বাসে ভাঙচুর চালায়। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা ভাঙচুরে বাধা দিলে ভাঙচুরকারীরা সমন্বয়কদের উপর চড়াও হয় এবং তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার কারণ উদঘাটনে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সর্বশেষ গত ২৮ আগস্ট সিন্ডিকেট সভায় কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পাঁচ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক বলেন, সিন্ডিকেটে তাদের বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিভাগ চিঠি পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ