ইউনিয়নের সমপরিমাণ
‘ঢাকা ভার্সিটির ভোটেই সারাদেশের ঘাম ছুটে গেছে’

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ছোট্ট একটি ইউনিয়ন সমপরিমাণ ৩০ হাজার ভোট হয়েছে ঢাকা ভার্সিটিতে, এতেই সারাদেশের ঘাম ছুটে গেছে। একটি ইউনিয়ন নির্বাচনে তারা (সরকার) আমাদের এ ভয়াল পরিস্থিতি থেকে মুক্ত করতে পারে নাই। সারাদেশে সাড়ে ৪ হাজার ইউনিয়নে কীভাবে সুষ্ঠ ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করবে।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের তুলাগাও গ্রামে ‘উঠানে রাজনীতি’ শীর্ষক একটি উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ওই বৈঠকে হাসনাত আব্দুল্লাহ প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, ‘আপনার উপদেষ্টারা অনেকেই নানা অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছে, এটা আমরা বিশ্বাস করতে চাই না। আপনাদের জুলাই ছাত্র আন্দোলনের শহীদদের রক্তের ওপর বসানো হয়েছে। আপনারা জন মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করুণ।’
হাসনাত আবদুল্লাহ প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে আরও বলেন, ‘আপনি ঘোষণা দিন যে খেলার নিয়ম চেঞ্জ হয়েছে, এ খেলার নিয়মের একটি আইনগত ভিত্তি দিন, এরপর আপনি আগামী মাসেই নির্বাচন দিন। আমি নির্বাচিত হই বা না হই আমার দুঃখ নেই। কিন্তু জনগণ যাকে ভোট দিবে সে নির্বাচিত হতে পারবে। এতে আমার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু আমাদের নির্বাচনের আগে ভাঙ্গা ঘর চেঞ্জ করতে হবে।
এনসিপির এই নেতা বলেন, আপনি আমাদের ভাঙা ঘরের দরজা পরিবর্তন করবেন না, জানালা পরিবর্তন করবেন না, শুধুমাত্র দারোয়ান পরিবর্তনের জন্যই কি আমরা নির্বাচন করব? শুধুমাত্র দারোয়ান পরিবর্তন করে আমরা ৫০ বছর দেখেছি, টেন্ডারবাজি থামানো যায় নাই, থামানো যায় নাই ভোট ডাকাতি। আমরা ধারণ পরিবর্তন করব। একই সঙ্গে দরজাও ঠিকঠাক মত লাগাবে। এজন্য মুখের কথা বিশ্বাস করি না আমাদের একটি নতুন সংবিধান চাই।
হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও বলেন, ‘আমরা দেখেছি ভোটের আগে নেতারা টাকা দিয়ে আপনার আমার মুখ বন্ধ করে রাখে। এটা আর আমরা হতে দেব না, সামনে যে নির্বাচন হবে ওই নির্বাচনে আমাদের কিছু শর্ত আছে। ওই শর্তগুলোর লিখিত ভিত্তি দিতে হবে। এটাই রাষ্ট্র সংস্কার। এই দেশ হাজার হাজার মানুষের রক্তে ভেজা, এখানে আমরা মুখের কথা বিশ্বাস করি না। এগুলোর আইনগত ভিত্তি দিয়েই নির্বাচন দিতে হবে যার পক্ষই যাক। যারা এই নিয়ম ভাঙবে পরবর্তী জেনারেশন যেন তাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে ধরতে পারে। রাষ্ট্রের মধ্যে যত অনিয়ম দুর্নীতি হয় এগুলো ভুক্তভোগী হয় সাধারণ মানুষ, কোনো মন্ত্রী-এমপি না। এমপি সবসময় এমপি হয়, মন্ত্রী সব সময় মন্ত্রী হয়। তাদের ছেলে-মেয়েরাও এমপি-মন্ত্রী হয়। তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় কিন্তু এই সাধারণ খেটে খাওয়ার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না।’
ভিওডি বাংলা/ এমপি