সারিয়াকান্দি টিপুর মোড়ে জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ


বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার প্রাণকেন্দ্র টিপুর মোড় এখন যেন জলাবদ্ধতার স্থায়ী ঠিকানা। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তা ডুবে যায়, দোকানপাটে পানি উঠার উপক্রম হয়ে যায়, যান বাহন চলাচলে সৃষ্টি হয় চরম ভোগান্তি। ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে পথচারী—সবারই একই প্রশ্ন, “এই দুর্ভোগের শেষ কবে?”
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এলাকাটির ড্রেনেজ ব্যবস্থার কোনো উন্নয়ন হয়নি। রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছে নিন্মমানের সামগ্রী, যা অল্পদিনেই নষ্ট হয়ে গিয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করছে। এই দুরবস্থার জন্য সরাসরি দায়ী হিসেবে অনেকে আঙুল তুলেছেন পৌরসভার সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী বিপ্লবের দিকে।
ভুক্তভোগীদের দাবি, নির্মাণকাজে সঠিক তদারকি না থাকায় এবং নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের ফলে সাময়িকভাবে কাজ শেষ হলেও কিছুদিনের মধ্যেই তা অকেজো হয়ে পড়ে। ফলে জনগণের দুর্ভোগ যেন স্থায়ী রূপ নিচ্ছে।
একজন স্থানীয় দোকানদার বলেন, “বৃষ্টির পরে দোকানে পানি উঠার উপক্রম হয়ে যায়। ব্যবসা তো করতে পারছি না, উল্টো ক্ষতির মুখে পড়ছি। পৌরসভা শুধু কাজের নাম করে বাজেট খরচ করে, কিন্তু আমাদের কষ্ট যেন কারো চোখে পড়ে না।
মানব কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি লিটন মাহমুদ জানান, টিপুর মোড়ে কার্পেটিং কাজ চলাকালে তিনি ইঞ্জিনিয়ার বিপ্লবকে কাজ ভালোভাবে করার অনুরোধ করলে, তিনি উল্টো রেগে গিয়ে বলেন, "তোমরা বললেই আমি সেভাবে কাজ করব না, আমি আমার মতো করেই করব।" কয়েকদিনের মধ্যেই ওই এলাকায় কার্পেটিং উঠে গিয়ে আগের চেয়েও খারাপ অবস্থার সৃষ্টি।
এই বিষয়ে পৌরসভার দায়িত্বশীল কেউ এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য না দিলেও এলাকাবাসীর দাবি—তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক এবং দ্রুত কার্যকর ড্রেনেজ ব্যবস্থার মাধ্যমে টিপুর মোড়কে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করা হোক।
এখন সময় এসেছে পৌর প্রশাসনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার। অন্যথায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভ আর অসন্তোষ আরও প্রকট হবে, যার দায় প্রশাসনকে নিতেই হবে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ