নিবন্ধনের জন্য বাছাই হওয়া ২২ দলকে ডেকেছে নির্বাচন কমিশন


তথ্য উপাত্ত যাচাই করতে প্রাথমিকভাবে নিবন্ধনের জন্য বাছাই হওয়া ২২ দলকে ডেকেছে নির্বাচন কমিশন। এরই মধ্যে কয়েকটি দলের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করেছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ।
আলোচনা করতে আসা দলগুলোর মধ্যে ছিল মার্কসবাদী বাসদ, বাংলাদেশ জাস্টিস এন্ড ডেভলপমেন্ট পার্টি, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি।
অপরদিকে, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের প্রক্রিয়ায় বাছাইয়ে বাদ পড়া দলগুলোকে এরই মধ্যে কারণ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেইসাথে দলগুলোর কেন্দ্রীয় অফিস, জেলা-উপজেলা দপ্তর ও কমিটি, সমর্থক তালিকা যাচাইসহ মাঠ পর্যায়ের প্রতিবেদন এসেছে নির্বাচন কমিশনে।
এখন, সব পর্যালোচনা করে যোগ্যদের বিষয়ে এ মাসেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে ইসি। এতে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দলগুলোর দাবি আপত্তি নিষ্পত্তিতে শুনানির সুযোগ দিচ্ছে কমিশন। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নতুন রাজনৈতিক দলের গেজেট প্রকাশের কথাও রয়েছে কমিশনের।
এর আগে, নিবন্ধনপ্রত্যাশী নতুন ২২টি রাজনৈতিক দলের জেলা ও উপজেলা দফতরের কার্যকারিতা সরেজমিন তদন্ত করে মাঠ কর্মকর্তাদের গত ৩১ আগস্টের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। বলা হয়েছিল মাঠপর্যায়ে দলগুলোর কেন্দ্রীয় কমিটি, জেলা ও উপজেলা কমিটি এবং প্রতিটি কমিটিতে ২০০ ভোটারের সমর্থনের প্রমাণ যাচাই করা হবে। প্রতিবেদন পাওয়ার পরই নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপ শুরু হবে বলেও জানিয়েছিল ইসি।
উল্লেখ, নিবন্ধনপ্রত্যাশী মোট ১৪৩টি দলের মধ্যে বাছাইয়ে উত্তীর্ণ ২২টি দল হলো: ফরোয়ার্ড পার্টি, আমজনতার দল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি), বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, জাতীয় জনতা পার্টি, জনতার দল, জনতা পার্টি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-সিপিবি (এম), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ-শাহজাহান সিরাজ), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ বেকার সমাজ (বাবেস), বাংলাদেশ সলিউশন পার্টি ও নতুন বাংলাদেশ পার্টি।
আইন অনুযায়ী, নিবন্ধন পেতে ইচ্ছুক দলের কেন্দ্রীয় কমিটি, এক-তৃতীয়াংশ জেলা ও ১০০টি উপজেলা কমিটি থাকতে হবে। এ ছাড়া কোনো সদস্য আগে সংসদ সদস্য ছিলেন বা পূর্ব-নির্বাচনে ৫ শতাংশ ভোট পেয়েছেন, তা-ও নিবন্ধনের যোগ্যতার শর্ত হিসেবে ধরা হয়। এই প্রধান শর্ত ছাড়াও আরও কিছু নিয়ম-কানুন মেনে আবেদন করতে হয়।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ