• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

৫ দাবিতে ইসলামী আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক    ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৫৬ পি.এম.
ছবি: সংগৃহীত

জুলাই অভ্যুত্থানের ১৪ মাস অতিক্রান্ত হলেও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বর্ধিত মেয়াদ শেষে এখনো প্রতীক্ষিত জুলাই সনদ বাস্তবায়িত হয়নি—এ অভিযোগ তুলেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সংগঠনটি বলছে, অভ্যুত্থান হয়েছিল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও রাষ্ট্রীয় সংস্কারের জন্য; কিন্তু সংস্কার ও বিচারের পরিবর্তে নির্বাচনকেই মুখ্য করে তোলায় দেশ আবারও পুরোনো অশুভ বন্দোবস্তের দিকে ফিরে যেতে পারে।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান শুধু ক্ষমতার পালাবদলের আন্দোলন ছিল না। এর লক্ষ্য ছিল রাষ্ট্র থেকে স্বৈরতন্ত্রের প্রভাব চিরতরে দূর করা, গত ৫৪ বছরের রাজনৈতিক জঞ্জাল পরিষ্কার করা, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীন ও সক্রিয় করা এবং জনগণের ভোটাধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করা।

আমরা যারা জুলাইয়ে জীবন বাজি রেখে সংগ্রাম করেছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, শহীদদের রক্তক্ষয়ী ত্যাগ দেখেছি, আহতদের আর্তনাদ শুনেছি—তাদের স্বপ্নকে বিসর্জন দিতে পারি না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আজ সংস্কার ও বিচারকে উপেক্ষা করে শুধু নির্বাচনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, তারা শুধু রাজনৈতিক দল হিসেবে অপরাধ করেনি, বরং মাফিয়া চক্রের মতো সংগঠিত অপরাধ করেছে। মাত্র কয়েকজনকে আটক করে বিচার চলছে, অথচ মূল হোতারা বিদেশে বসে চক্রান্ত চালাচ্ছে।

তিনি দাবি করেন, জেলা পর্যায়ে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে এবং বিদেশে পালিয়ে থাকা অপরাধীদের ফিরিয়ে এনে বিচার করতে হবে।

মুফতি রেজাউল করিম বলেন, এই দল অতীতে স্বৈরশাসকের দোসর হিসেবে কাজ করেছে। তারা অবৈধ নির্বাচনকে বৈধতা দিয়েছে। অথচ আজ আবার মাথাচাড়া দিয়ে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে।

ইসলামী আন্দোলনের মূল দাবি গুলো হল:-

১. জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন।
২. আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন।
৩. সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা।
৪. গণহত্যা ও আওয়ামী লীগের অপরাধের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করা।
৫. বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে জাতীয় পার্টিসহ ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচার এবং বিচার চলাকালীন তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

ঘোষিত কর্মসূচি

১৮ সেপ্টেম্বর:  ঢাকায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল।
১৯ সেপ্টেম্বর : বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ।
২৬ সেপ্টেম্বর : জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ মিছিল।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক কর্মসূচি চলবে এবং প্রয়োজনে তা আরো কঠোর করা হবে।

মুফতি রেজাউল করিম বলেন, আমাদের অবস্থান কোনো নির্দিষ্ট দলের বিরুদ্ধে নয়। বরং জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের রক্ত ও জনগণের প্রত্যাশার প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই এই আন্দোলনের ডাক দিচ্ছি।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে তারেক রহমানের বাণী
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে তারেক রহমানের বাণী
নির্বাচনকে কন্ডিশনাল করা যাবে না : সালাউদ্দিন
নির্বাচনকে কন্ডিশনাল করা যাবে না : সালাউদ্দিন
অবৈধ অস্ত্র নিয়ে উদ্বেগ আছে: বাবর
অবৈধ অস্ত্র নিয়ে উদ্বেগ আছে: বাবর