পরিবেশ সুরক্ষায় তুহিন আলমের দৃঢ় পদক্ষেপে বদলে যাচ্ছে সিরাজগঞ্জ


পরিবেশ অধিদপ্তর, সিরাজগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অফিস প্রধান হিসেবে জনাব তুহিন আলম দায়িত্ব গ্রহণের পর জেলার পরিবেশ রক্ষা ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তার গতিশীল নেতৃত্বে একের পর এক অভিযান, প্রশিক্ষণ, জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি এবং আইন প্রয়োগের মাধ্যমে জেলার পরিবেশ ব্যবস্থাপনায় এসেছে কার্যকর পরিবর্তন।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তার নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট অভিযানে অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ, পরিবেশ বিধিমালা লঙ্ঘনকারী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, এবং নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এসব অভিযানে শতাধিক টন পলিথিন জব্দ, লাখ লাখ টাকা জরিমানা আদায় এবং একাধিক ইটভাটা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে ফেলা হয়েছে।
এছাড়াও, পরিবেশ সংরক্ষণে বিভিন্ন পেশাজীবী ও শিল্প-শ্রমিকদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও সচেতনতামূলক সভা আয়োজন করেছেন তিনি, যেখানে জলবায়ু পরিবর্তন, শব্দ ও বায়ু দূষণ, প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনা, জীববৈচিত্র্য রক্ষা প্রভৃতি বিষয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। সিরাজগঞ্জের তাঁতশিল্পের শ্রমিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি পরিবেশবান্ধব শিল্প উৎপাদনের নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
জনাব তুহিন আলমের নেতৃত্বে পরিচালিত এই কার্যক্রমগুলো শুধু আইন প্রয়োগেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং স্থানীয় জনগণকে পরিবেশ রক্ষায় উদ্বুদ্ধ করাও এর অন্যতম লক্ষ্য। তার উদ্যোগে “পরিবেশবান্ধব সিরাজগঞ্জ” গড়ে তোলার প্রচেষ্টা আজ বাস্তব রূপ নিতে শুরু করেছে।
সিরাজগঞ্জের সাধারণ মানুষ, সচেতন নাগরিক সমাজ ও স্থানীয় প্রশাসন সকলেই তার কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলছেন, “এত কম সময়ে পরিবেশ নিয়ে এত ব্যাপক ও ধারাবাহিক কাজ অতীতে কখনো দেখা যায়নি।”
সহকারী পরিচালক জনাব তুহিন আলম জানিয়েছেন, “পরিবেশ রক্ষা একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা ইটভাটা, পলিথিন, শব্দ ও বায়ু দূষণসহ সব ধরণের পরিবেশ-ঝুঁকি মোকাবেলায় আইন প্রয়োগ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর। এ ধরণের অভিযান এবং সচেতনতামূলক কার্যক্রম নিয়মিত চালু থাকবে।”
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ