কেন্দুয়া কলেজের ১১ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুয়া সনদের অভিযোগ


নেত্রকোণার কেন্দুয়া সরকারি কলেজের ১১ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুয়া সার্টিফিকেট ব্যবহার করে চাকরি নেওয়া ও পদোন্নতির অভিযোগে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। তবে অভিযোগকারী হিসেবে যার নাম উঠে এসেছে, সেই স্থানীয় আইনজীবী এডভোকেট হাবিবুর রহমান চৌধুরী বিষয়টি অস্বীকার করায় ঘটনাটি ঘিরে রহস্য আরও গভীর হচ্ছে।
এডভোকেট হাবিবুর রহমান চৌধুরী গণমাধ্যমে জানান, “আমি কোনো অভিযোগ করিনি। কে বা কারা আমার নাম ব্যবহার করেছে তা আমার জানা নেই। অভিযোগপত্রে যে স্বাক্ষর রয়েছে সেটিও আমার নয়।” এতে করে এখন মূল প্রশ্ন দাঁড়িয়েছে,তাহলে অভিযোগ দায়ের করল কারা?
অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্ত শিক্ষকরা ভুয়া সনদ ব্যবহার করে নিয়োগ ও পদোন্নতি নিয়েছেন।
অভিযোগে যাদের নাম এসেছে তারা হলেন—
বদিউজ্জামান বকুল (ইংরেজি) বোরহান উদ্দীন (বাংলা) আব্দুল কাদের (বাংলা) ফারুক আহমেদ তালুকদার (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) এম এ রুবেল (হিসাববিজ্ঞান) সুমন কুমার বণিক (ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি) মোসাঃ সাবিকুন্নাহার (দর্শন)
নমিতা পোদ্দার (দর্শন) আহম্মদ আবদুল্লাহ হারুন (উদ্যোক্তা উন্নয়ন) মোঃ শফিকুল আলম (কম্পিউটার অপারেটর) বিধান কর (কম্পিউটার অপারেটর)
অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরিচালক প্রফেসর এ.কে.এম আলিফ উল্লাহ আহসান ও উপ-পরিচালক ফেরদৌস আহমেদ কেন্দুয়া সরকারি কলেজে গিয়ে অভিযুক্তদের সার্টিফিকেট প্রাথমিকভাবে যাচাই করেন। তিনি সাংবাদিকদের
জানান “প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে সার্টিফিকেটগুলো আবারও খুঁটিয়ে যাচাই করা হবে।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকরা অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করেছেন। বাংলা বিভাগের প্রভাষক আব্দুল কাদের নয়ন বলেন, “আগেও আমাদের নামে অভিযোগ করা হয়েছিল, কিন্তু সত্যতা মেলেনি। এবারও আমাদের হেয় করার জন্যই এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।”
অভিযোগকারী স্বীকার না করায় এবং স্বাক্ষর জাল বলে দাবি করায় ঘটনাটি এখন আরও জটিল হয়ে উঠেছে। শিক্ষা বোর্ড নতুন করে যাচাই শুরু করলেও, স্থানীয়ভাবে প্রশ্ন রয়ে গেছে, কে বা কারা এই অভিযোগ তুলল?
অভিযোগের পেছনে রাজনৈতিক প্রভাব নাকি ব্যক্তিগত শত্রুতা আছে? নাকি এটি শিক্ষকদের অভ্যন্তরীণ বিরোধের ফল?
একদিকে অভিযোগের কাগজপত্রে আসল অভিযোগকারী নেই, অন্যদিকে প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি। ফলে বিষয়টি এখন পুরোপুরি রহস্যের ঘেরাটোপে। স্থানীয় জনমনে জোরালো প্রশ্ন, “কেন্দুয়া সরকারি কলেজের ১১ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুয়া সনদের অভিযোগ তুলল আসলে কে?”
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ