প্রয়াত সাংবাদিক আরিফিন তুষারের পরিবারের পাশে রহমাতুল্লাহ


কালবেলার বরিশাল ব্যুরো প্রধান প্রয়াত সাংবাদিক আরিফিন তুষারের পরিবারের খোজ খবর নিতে ছুটে যান বিএনপি'র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ।
মঙ্গলবার ( ১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় তুষারের বরিশালস্থ বাসভবনে ছুটে যান তিনি। এসময় খোঁজখবর নিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন রহমাতুল্লাহ। তিনি বলেন, আরিফিন তুষার ছিলেন একজন সৎ ও সাহসী সাংবাদিক। বারবার আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকারের অন্যায়ের চিত্র তুলে ধরে সাহসীকতার পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন ও সাংবাদিকতায় মিডিয়াঙ্গনে উল্লেখযোগ্য ভুমিকাও রেখেছিলেন তুষার। তিনি সকলের অন্তরে বেচে থাকবেন চিরকাল। এসময় রহমাতুল্লাহ প্রয়াত সাংবাদিক তুষারের পরিবারের সার্বিক বিষয়ে পাশে থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
খোঁজ খবর নিতে গেলে আরও উপস্থিত ছিলেন আরিফিন তুষারের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন ভূঁইয়া ও তার স্ত্রী-ছেলে, সিনিয়র সাংবাদিক কমল সেনগুপ্ত, আলম রায়হান, সাংবাদিক খান রুবেল, কেএম নয়ন , মহানগর বিএনপি’র সদস্য জাহিদুর রহমান রিপন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা তারিক সুলাইমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ০৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর রোডের নিজ অফিসে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে শ্বাসকষ্ট এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন কালবেলার বরিশাল ব্যুরো প্রধান আরিফিন তুষার। দ্রুত তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৩৮ বছর। তিনি দেড় বছরের পুত্র সন্তান, স্ত্রী, বাবা-মা এবং দুই ভাইসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তুষার বরিশাল প্রেসক্লাবের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও প্রেসক্লাব সাংবাদিক কল্যাণ তহবিলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তাছাড়া বরিশাল জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বার্তা সম্পাদক ফোরাম বরিশালের নির্বাহী সদস্য এবং জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সম্পাদকীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ