সুনামগঞ্জের শাল্লায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ২


সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা থানাধীন এলাকায় জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জেড়ে প্রতিবেশী প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় একই পরিবারের নারী পুরুষসহ দুই জন আহত হয়েছেন। বর্তমানে আহতদের মধ্যে একজন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত ব্যাক্তির নাম তকদীর হোসেন দুলাল,সে শাল্লা গ্রামের বাসিন্দা মৃত রহমত আলীর ছেলে। অপর জন হলেন তকদীর হোসেন দুলালের স্ত্রী ইমরানা বেগম এবং ছেলে আলীনুর খান তাকে বিবাদীদের কবল হতে রাত ৩ টায় পুলিশ উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়।মামলা সূত্রে জানা যায় ঘটনাটি ঘটেছে গত ৫/৯/২০২৫ ইং রোজ শুক্রবার, সকাল সাড়ে ১১ টায় তকদীর হোসেন দুলাল বাড়ীর আঙ্গীনায়।
এ ঘটনায় গত ১২/৯/২০২৫ইং তারিখে শাল্লা থানায় হামলাকারী ৪ জনের নাম উল্লেখ করে আহত তকদীর হোসেন দুলাল বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-শাল্লা থানা-০৩/৮০,তারিখ ১২/০৯/২০২৫ইং, ধারা:৩৪১/৩২৩/১৪৩/৪৪৭/৩২৫/৫০৬/৩০৭/১১৪ পেনাল কোড-১৮৬০,এ মামলা রুজু করা হয়।
হামলাকারী আসামিরা হলেন ১। আঃ সালাম মিয়া (২৭) পিতা: মৃত লাল মিয়া ২। পেশকার আলী (৫৫) পিতা মতৃ আহমদ আলী ৩। হাজিলা বেগম (৫০) স্বামী: পেশকার আলী ৪। মনিশা বেগম (২১), পিতা: পেশকার আলী, সর্ব সাং শাল্লা, ০৪ নং শাল্লা গ্রামের বাসিন্দা। জানা যায় বিবাদীগণের সাথে তকদীর হোসেন দুলালের দীর্ঘদিন যাবৎ জায়গা জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ ছিল । উক্ত জায়গা সম্পত্তির বিরোধ থাকার কারণে বিবাদীগণ তকদীর হোসেন ও তার পরিবারের লোকজনের ক্ষতি করার চেষ্টায় সর্বদাই লিপ্ত ছিল বলে জানা যায়।
উক্ত বিরোধের জেড়ে ঘটনার তারিখ ও সময়ে বিবাদীগণ পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে প্রাণে হত্যার চেষ্টায় উৎ পাতিয়া থাকে, যখনি তকদীর হোসেন তার বাড়ির পিছনের রাস্তা দিয়ে পুকুরে গোসল করিতে যাওয়ার সময় সকল বিবাদীরা তকদীর হোসেনকে একা পেয়ে চতুর্দিকে দিয়ে ঘেরাও করে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এসময় তকদীর হোসেন গুরুতর আহত হন। হামলা কারীরা তকদীর হোসেনকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্য এলোপাতাড়ি ভাবে দেশিও অস্ত্র লোহার রড,রামদা,কাঠের রোইল দিয়ে আঘাত করে তার হাত ভেঙ্গে দেয় এবং শারা শরীরে রক্তাক্ত জখম করে। তার চিৎকারে তার স্ত্রী ইমরানা বেগম উদ্ধার করতে আসিলে তাকেও বেদরক মারপিট করে হামলাকারীরা।
এসময় স্বামী স্ত্রী দুইজনেই আহত হন। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তকদীর হোসেন ও ইমরানাকে আহত অবস্থায় পুলিশের সহায়তায় হামলাকারীদের কবল হইতে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তকদীর হোসেনের অবস্থা গুরুতর হওয়া কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। বর্তমানে আহত তকদীর হোসেন সিলেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ব্যাপারে শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান এ ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে আসামীরা পলাতক রয়েছে, আসামীদের আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ