মুসাপুর ক্লোজার নির্মাণ ও ফেনী নদী ভাঙন রোধে ম্যারাথন-মানববন্ধন


ছোট ফেনী নদীর ভাঙন রোধ ও মুসাপুর ক্লোজার নির্মাণের দাবিতে ফেনীর দাগনভূঞা ও সোনাগাজী উপজেলার স্থানীয় এলাকাবাসী ম্যারাথন ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টায় সোনাগাজীর চরমজলিশপুর ইউনিয়নের তালতলী এলাকা থেকে ম্যারাথন শুরু হয়। ‘নদী ভাঙন রোধে হাঁটি একসাথে’ স্লোগান নিয়ে আয়োজিত এ মিনি ম্যারাথনে এলাকার বিভিন্ন বয়সী অর্ধশতাধিক মানুষ অংশ নেন। উদ্যোগটি নেয় স্থানীয় সামাজিক সংগঠন পরিবর্তন ক্লাব।
ম্যারাথনটি শেষে দাগনভূঞা পৌর শহরের আতাতুর্ক স্কুল মার্কেটের সামনে মানববন্ধনে মিলিত হয়। পরিবর্তন ক্লাবের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন স্থানীয় ইউপি সদস্য ওমর ফারুক, ভুক্তভোগী আবুল কাশেম, ক্লাবের সাবেক সভাপতি ব্যাংকার মাহফুজুর রহমান সজিব। এছাড়া সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন সমকাল প্রতিনিধি ইমাম হাসান কচি, সংগ্রাম প্রতিনিধি এম তাহের, নিসচা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক এমএম রহমান সোহেল।
সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “মুসাপুর ক্লোজার ভেঙে যাওয়ায় ইতোমধ্যে ১১২ কিলোমিটার নদীপাড় বিলীন হয়ে যাচ্ছে। স্কুল-কলেজ, বসতভিটা, জলপথ সব ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। মানুষের সভ্যতা, সংস্কৃতি ও স্বপ্ন বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নদী শাসন করা হলেও স্লুইসগেট নির্মাণ ছাড়া স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। সরকারের কাছে আমরা দ্রুত স্লুইসগেট নির্মাণের জোর দাবি জানাই।”
ক্লাবের সদস্য সচিব ও ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্বাস উদ্দিন আনাস বলেন, “আমি নিজেও নদী ভাঙনকবলিত এলাকার বাসিন্দা। চব্বিশের বন্যায় যতটা ক্ষতি হয়নি, মুসাপুর ক্লোজারের কারণে তার চেয়েও বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছি। বন্যার পরে পুনর্বাসন হলেও এখন এ বিষয়ে কোনো নজর নেই। মানুষ জন্মভূমি ও স্মৃতি হারাচ্ছে। তাই অতিদ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন।”
এম এ তাহের বলেন, “নদী ভাঙনে দাগনভূঞার মানচিত্র পাল্টে যাচ্ছে। জগতপুর, মমারিজপুরসহ অনেক অঞ্চল বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তালতলী বাজার, মিয়াজীর ঘাট, ফাজিলের ঘাট স্কুল বিলীন হওয়ার পথে। মুসাপুর ক্লোজার তিন জেলার মানুষের জন্য মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। সেনাবাহিনীর মাধ্যমে দ্রুত কাজ শুরু করতে হবে।”
মানববন্ধনে বক্তারা বাড়িঘর ও মানুষের জীবন রক্ষায় অবিলম্বে সরকারি উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ