নবাবগঞ্জে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে মৃৎশিল্পী কারিগররা


আকাশে বাতাসে বইছে শরতের আগমনী বার্তা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ শারদীয় দুর্গা পূজা উৎসবের আগমনে প্রতিটি ঘরে ঘরে বইছে আনন্দের সুবাতাস। সারা দেশের ন্যায় দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় শারদীয় দুর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি নিচ্ছেন সনাতন ধর্ম অবলম্বীরা। এছাড়া প্রায় প্রতিটি পূজা মণ্ডবে ইতিমধ্যে দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করেছে মৃৎশিল্পী কারিগররা।
আগামী (২৮ সেপ্টেম্বর) রবিবার মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে ৫ দিনব্যাপী শুরু হবে পূজোর উৎসব। ২রা অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে দেবী দুর্গার পূজা। নবাবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডব ঘুরে দেখা গেছে, মৃৎশিল্পী কারিগররা ওই মাটি, লাল মাটি, কুমার মাটি, বাস, খর, সুতলি, ধানের গুড়া ইত্যাদি নানা রকম উপকরণ দিয়ে দেবী দুর্গা , মহিষাসুর এর প্রতিমা সহ শিব, কার্তিক, গণেশ ,লক্ষ্মী, সরস্বতী, সিংহ, মহিষ, ময়ুর, ইদুর, পেঁচা তৈরির কাজে মহা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে মৃৎশিল্পী কারিগররা।
প্রতিমা তৈরির কারিগররা জানায়, পূজোর আর খুববেশী দিন নেই। তাই তারা প্রতিমা তৈরীর সকল সামগ্রী দিয়ে নানা ধরনের কারুকার্যে সকল দেব-দেবীর প্রতিমা তৈরির কাজ আগে ভাগেই শুরু করেছে। কেননা মাটির তৈরি প্রতিমাগুলো রৌদ্রে শুকিয়ে নিতে হয়। প্রায় মণ্ডপগুলোতে ইতিমধ্যে মাটির কাজ শেষের দিকে। উপজেলার বাজার সংলগ্ন কেন্দ্রীয় বিষ্ণু মন্দিরের প্রতিমা তৈরির কারিগর বিনয় চন্দ্র পালের সঙ্গে দৈনিক সকালের সময় প্রতিনিধির কথা হলে তিনি বলেন, তার বাড়ি মন্দির থেকে একটু দূরে তর্পন ঘাট (পালপাড়া) গ্রামে। শৈশব থেকেই প্রতিমা তৈরির প্রতি তার মনোযোগ হয়। প্রতি বছর সে প্রতিমা তৈরি করে সংসারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি অনেক স্বাবলম্বী হয়েছে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ চন্দ্র রায় জানান, এবার নবাবগঞ্জ উপজেলায় মোট ৬৮ টি মণ্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলার প্রতিটি পূজা মণ্ডপ কমিটির নেতৃবৃন্দকে রাতের বেলা প্রতিমাগুলো দেখভালের জন্য পাহারার ব্যবস্থা দেয়ার পাশাপাশি প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয় রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মতিন বলেন, পূজা মণ্ডপগুলোর সুরক্ষা দিতে ইউনিয়ন বিট পুলিশের দায়িত্বে থাকা থানার পুলিশ অফিসারগণ সার্বক্ষণিক প্রতিটি মণ্ডপ পরিদর্শনের পাশাপাশি পূজা মণ্ডপের কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি থাকবে না।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ