ডিভোর্সের বিষয় স্পষ্ট করলেন ডা. জাহেদ


চলমান রাজনৈতিক আবহের মধ্যেই ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েন ও ডিভোর্স নিয়ে আলোচনায় আসেন লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান। অবশেষে তিনি বিষয়টি নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রাক্তন স্ত্রী আনা নাসরিনের সাম্প্রতিক বক্তব্য প্রসঙ্গে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন তিনি।
ডা. জাহেদ লিখেছেন, “আমার স্ত্রী আনা নাসরিন সাম্প্রতিক সময়ে আমাকে জড়িয়ে যেসব কথা বলেছেন এবং তা নিয়ে যেসব জল্পনা চলছে, সেসব নিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে আমি কিছু বলব না। ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা করাকে আমি অরুচিকর মনে করি।”
তিনি আরও বলেন, “আমাকে কেউ ব্ল্যাকমেইল করছে বা করাচ্ছে-এমন দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এর মাধ্যমে আমার সক্রিয়তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চলছে। ব্ল্যাকমেইল হওয়ার মতো কোনো দুর্বলতা আমার নেই।”
গত ১৭ সেপ্টেম্বর স্ত্রীকে ডিভোর্স নোটিশ পাঠানোর কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, “এটি সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে নয়; দীর্ঘদিন ধরেই এমন অবস্থায় ছিলাম আমরা। তার কোনো সাম্প্রতিক কিংবা ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।”
সবশেষে তিনি প্রাক্তন স্ত্রীর মঙ্গল কামনা করে লেখেন, “আমি আনা নাসরিনের সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ ও সফলতা কামনা করছি।”
এদিকে আনা নাসরিন নিজেও ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন, “Husband শব্দটির একটি যথাযথ বাংলা প্রতিশব্দ প্রস্তাব করুন। আমি সর্বদা ইংরেজি শব্দ এড়িয়ে চলতে চাই, কিন্তু আমাদের প্রচলিত ভাষায় এমন শব্দ খুঁজে পাওয়া কঠিন, যা সমতা ও মানবিক মর্যাদা বহন করে।”
তিনি অভিযোগ করেন, কুচক্রী মহল ইচ্ছাকৃতভাবে ‘দাম্পত্য সঙ্গী’ শব্দটিকে বিকৃতভাবে ‘লিভিং পার্টনার’ অর্থে ব্যবহার করছে। আদালতের বাধ্যবাধকতায় ‘স্বামী’ শব্দটি ব্যবহার করতে হলেও এর প্রতি তার তীব্র অশ্রদ্ধা রয়েছে। কারণ এর আভিধানিক অর্থ-প্রভু, পতি, মনিব, অধিপতি, মালিক-যা নারীকে সমমর্যাদার সঙ্গী হিসেবে নয়, বরং অধীনস্ত হিসেবে তুলে ধরে।
আনা নাসরিন আরও লিখেছেন, “আমি বিশ্বাস করি, ভালোবাসা, সম্মান ও সমতার ওপর দাঁড়ানো সম্পর্কের জন্য নতুন শব্দচর্চা জরুরি। ভাষা বদলালে সমাজও বদলাবে।”
তার পোস্টে তিনি দাম্পত্য, সমতা, ভাষাচর্চা ও নারীর মর্যাদা শব্দগুলো হ্যাশট্যাগ হিসেবে ব্যবহার করেন।
ভিওডি বাংলা/জা