রাষ্ট্রীয় সংস্থার কাছে ২৬১২ কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া


সরকারি বিভিন্ন সংস্থার কাছে বিদ্যুৎ বিভাগের ২ হাজার ৬১২ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। ফলে আর্থিক সংকটে পড়েছে সংস্থাটি। এ বকেয়ার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১২ কোটি এবং বিদ্যুৎ বিভাগের নিজস্ব বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১২ কোটি টাকা রয়েছে।
সবচেয়ে বেশি বকেয়া ৯৯৫ কোটি টাকা স্থানীয় সরকার বিভাগের। এরপর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৫৯৪ কোটি টাকা, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২৩৯ কোটি, গৃহায়ন ও গণপূর্তের ১৩৩ কোটি, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ৮০ কোটি, জননিরাপত্তা বিভাগের ৭৮ কোটি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ৭২ কোটি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের ৭০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।
বিদ্যুৎ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির বলেন, “বিল অনাদায়ী থাকায় বিতরণকারী সংস্থাগুলো আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে। বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়নেও ব্যাঘাত ঘটছে। এজন্য অর্থ বিভাগকে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিতে বলা হয়েছে।”
সূত্র জানায়, ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত কেবল ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) পাওনা দাঁড়িয়েছে ৭৭৩ কোটি টাকা। এরপর রয়েছে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) ৫৫৪ কোটি, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বাবিউবো) ৪৫৬ কোটি, নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) ৩৭১ কোটি, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বাপবিবো) ২৪৫ কোটি এবং ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) ২১১ কোটি টাকা।
বিতরণ কোম্পানিগুলোর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে মিটিং, চিঠি এবং আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরও বকেয়া আদায় সম্ভব হয়নি। এর ফলে উৎপাদন ও সরবরাহের খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার। বিদ্যুৎ খাতে ঝুঁকি তৈরি হওয়ায় সম্প্রতি অতিরিক্ত বরাদ্দ চেয়ে অর্থ উপদেষ্টার কাছে ডিও লেটার পাঠিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
ভিওডি বাংলা/জা