সার সংকটে কুড়িগ্রামের কৃষক


আমন মৌসুমের চূড়ান্ত সময়ে কুড়িগ্রামে দেখা দিয়েছে তীব্র রাসায়নিক সারের সংকট। এতে চাষিদের আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমন অভিযোগ ভুক্তভুকি কৃষক শ্রেণীর ,সংকট দেখিয়ে ডিলাররা সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করছেন।
জেলা কৃষি অফিস জানায়, এ মৌসুমে জেলায় আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ লাখ ৫৯ হাজার ৬০৮ একর জমিতে।
বাস্তবে আবাদ হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৬০০ একর জমিতে। অতিবৃষ্টি ও নিচু জায়গার কারণে প্রায় ৫২৪ একর জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে । এই আমন মাসে সারের চাহিদা রয়েছে ইউরিয়া ৮ হাজার ২২৬ মেট্রিক টন, টিএসপি ৯৮২ মেট্রিক টন, ডিওপি ২ হাজার ৬৪৮ মেট্রিক টন ও এমওপি ১ হাজার ৮১৮ মেট্রিক টন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁছগাছী,ঘোগাদহ,ভোগডাঙ্গা,বেলগাছা,যাত্রাপুর,হোলোখানা-সহ বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা চারা রোপণ ও জমিতে সার প্রয়োগে ব্যস্ত।
তবে সংকটের কারণ দেখিয়ে ঠিকমতো সার দিচ্ছে না ডিলাররা । পাঁছগাছী গ্রামের এনামুল হক বলেন, “যেখানে এক বস্তা সারের দরকার,সেখানে সার দিচ্ছে মাত্র ১০ কেজি। ”পাইকার ভিটা গ্রামের কৃষক কবির হোসেন জানান, সার না পাওয়ায় জমিতে ঠিকমতো ধান লাগাতে পারিনি।
কৃষকরা অভিযোগ করেছেন, সিন্ডিকেট গড়ে ডিলাররা কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন।
তবে সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের মেসার্স শহিদুল ট্রেডার্সের মালিক শহিদুল ইসলাম বলেন, “সারের কোনো সংকট নেই, কৃষকেরা বাড়িয়ে বলছেন। জেলা সার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আজিজ মিয়া জানান, চাহিদার তুলনায় সার কম আসছে। আমাদের কে উপর থেকে বলা হচ্ছে কৃষকদের বুঝিয়ে দিতে।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজের সঙ্গে যোগযোগ করা হলে তিনি কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে যোগযোগ করার পরামর্শ দেন।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (খামারবাড়ি) উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন,বলেন আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ সার মজুদ রয়েছে। একটি সিন্ডিকেট চক্র বেশি লাভের আশায় কৃত্রিম সংকট তৈরির চেষ্টা করছে। কিন্তু আমাদের তদারকি বা মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি সার মজুদ রয়েছে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ