মানবতাবাদী দার্শনিক মোতাহের হোসেন চৌধুরী


লেখক, প্রাবন্ধিক ও চিন্তাবিদ মোতাহের হোসেন চৌধুরী ছিলেন প্রকৃত মানবতাবাদী দার্শনিক। তাঁর লেখনী, সৃষ্টিকর্ম ও চিন্তা আজও সমান প্রাসঙ্গিক-এমন মন্তব্য করেছেন বক্তারা।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে তাঁর ৬৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় এ কথা বলা হয়। লেখকের নিজ জেলা লক্ষ্মীপুরে এটি ছিল প্রথম স্মরণসভা।
বক্তারা বলেন, মোতাহের হোসেন চৌধুরী সারা জীবন মুক্তচিন্তা ও মুক্তবুদ্ধির চর্চা করেছেন। মানবতা, যুক্তি ও প্রগতিশীলতার আলোকবর্তিকা ছিলেন তিনি।
রামগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম রবিন শীষ। প্রধান অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার। বক্তব্য দেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের গবেষক ড. কুদরত-ই-হুদা, যুগান্তরের সাহিত্য সম্পাদক কবি জুননু রাইন, লেখকপুত্র ক্যাপ্টেন সৈয়দ জাহিদ হোসাইন এবং লক্ষ্মীপুর সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক গাজী গিয়াস উদ্দিন।
জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার বলেন, “মোতাহের হোসেন চৌধুরী ছিলেন বাংলার উজ্জ্বল প্রাবন্ধিক ও মুক্তচিন্তার অগ্রদূত। তরুণ প্রজন্মকে তাঁর জীবন ও কর্ম থেকে শিক্ষা নিতে হবে।”
ড. কুদরত-ই-হুদা বলেন, “তিনি ছিলেন মানবতাবাদী দার্শনিক ও মুক্তবুদ্ধির সাধক। তাঁর প্রবন্ধ আজও পাঠককে সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ের পথে চলতে অনুপ্রাণিত করে।”
কবি জুননু রাইন বলেন, “সাহিত্য, দর্শন ও সমাজচিন্তায় তাঁর অবদান অনন্য। তাঁর লেখনী প্রজন্মকে এখনো নতুন চিন্তার খোরাক জোগায়।”
প্রসঙ্গত, মোতাহের হোসেন চৌধুরী ১৯০৩ সালের ১ এপ্রিল লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
ভিওডি বাংলা/জা