• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১
টপ নিউজ
হোয়াটসঅ্যাপের নতুন চমক ‘শিডিউল কল’ ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের পূজা প্রস্তুতি পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে: আমিনুল হক ডাকসুর নেত্রীদের ‘গৃহদাসী’ মন্তব্য করে চাকরি হারালেন ব্র্যাক গবেষক ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকী’র পাশে তারেক রহমান ১৩ দিনে ১৬ হাজার কোটি টাকা রেমিট্যান্স এরদোগানের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল আঙ্কারা মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজের নবীনবরন অনুষ্ঠানে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে তারেক রহমানের বাণী মানুষের পশুত্ব বর্জনই হোক সবার অঙ্গীকার : তারেক রহমান

রাজশাহী বিশ্বিবিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি

রাজশাহী ব্যুরো    ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:২২ পি.এম.
ছবি: ভিওডি বাংলা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্যসহ অন্য শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ তুলে এর প্রতিবাদে ও ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। 

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে তাঁরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে গতকাল শনিবার দিনভর উত্তেজনার পর মধ্যরাতে তা স্থগিত করা হয়। এ বিষয়ে আজ সিনেট সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

বিকেল ৩টায় এ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

শনিবার পোষ্য কোটাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরি ভবনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দীন মাটিতে পড়ে যান। এছাড়া শিক্ষার্থীরা উপ-উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, প্রক্টরসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল রাত সাড়ে ৯টায় সংবাদ সম্মেলন করে রবিবার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সরেজমিনে রবিবার দুপুরে ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, কর্মবিরতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পাশের আমতলায় অবস্থান নিয়েছেন। তবে সকালে ক্যাম্পাসে সব একাডেমিক ভবনের ফটকের তালা খুলে দেওয়া হয়। প্রশাসন ভবনও খোলা হয়।

শিক্ষার্থীদেরও বাসে করে ক্যাম্পাসে আসতে দেখা গেছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পৌনে ৯টার দিকে ক্যাম্পাসে আসা শুরু করেন। কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে, কেউ নিজস্ব বাহনে করে ক্যাম্পাসে আসেন। তবে তাঁরা কোনো কাজ করবেন না বলে জানান।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার সমিতির সভাপতি মুক্তার হোসেন বলেন, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই আজ কাজ থেকে বিরত থাকবেন।

আর ক্লাস-পরীক্ষাও বন্ধ থাকবে। তবে ক্যাম্পাসে তাঁরা দৃশ্যমান (জমায়েত) কোনো কর্মসূচি পালন করবেন না। সিন্ডিকেট সভার দিকে তাঁদেরও নজর থাকবে। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে কী ফল আসে তার ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এর আগে গতকাল দুপুর আড়াইটা থেকে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে প্রশাসনিক ভবনের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। বিকেল ৩টার দিকে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন প্রশাসনিক ভবন থেকে বের হলে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা তাঁর গাড়ি আটকে দেন। পরে তিনি হেঁটে তাঁর বাসভবনের দিকে যেতে থাকেন। শিক্ষার্থীরা তাঁর বাসভবনের ফটকে তালা লাগিয়ে দিলে তিনি জুবেরি ভবনের দিকে যান। তাঁর সঙ্গে প্রক্টর মাহবুবর রহমানও ছিলেন।

বিকেল সোয়া ৪টার দিকে জুবেরি ভবনে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছাত্রদের হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তি হয়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিক থেকে জুবেরি ভবনে সহ-উপাচার্যসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে আটকে রাখেন শিক্ষার্থীরা। এমন পরিস্থিতিতে রাত পৌনে ১০টার দিকে সহ-উপাচার্য ও অন্য শিক্ষকদের ‘লাঞ্ছিত’ করার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আজ কর্মবিরতির ডাক দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি আবদুল আলিম।

রাত সোয়া ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা জুবেরি ভবন ছেড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডসংলগ্ন উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। সেখানে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে স্লোগান দেন। এতে সহ-উপাচার্যসহ কয়েকজন শিক্ষক প্রায় সাত ঘণ্টা পর অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি পান। এ সময় বিভিন্ন হল থেকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী এসে জড়ো হন প্যারিস রোডসংলগ্ন উপাচার্যের বাসভবনের সামনে।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, রবিবার (আজ) এ নিয়ে জরুরি সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করা হয়েছে।

তবে এ সিদ্ধান্ত মেনে নেননি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তাঁরা উপাচার্যের নির্বাহী ক্ষমতাবলে এ সিদ্ধান্ত বাতিল ঘোষণার দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন। পরে রাত গভীর হওয়ায় ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে চলে যেতে শুরু করেন।

এর আগে রাত দেড়টার দিকে নিজ বাসভবনের ফটকের কাছে আসেন উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব। মাইকে তিনি বলেন, ‘শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সন্তানদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা স্থগিত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভুত পরিস্থিতিতে রবিবার জরুরি সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করা হয়েছে। আশা করছি, প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা বন্ধ হয়ে যাবে।

উপাচার্যের এমন বক্তব্য শুনে ফটকের বাইরে থাকা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘ভুয় ’, ‘ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন। তখন উপাচার্য বাসভবনের ভেতর চলে যান। গত বৃহস্পতিবার ভর্তি উপকমিটির সভায় ১০ শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য পোষ্য কোটা ফিরিয়ে আনা হয়। ওইদিন রাতে এটি বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশের পর শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
পাবনা-১ আসন পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন
পাবনা-১ আসন পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন
সার সংকটে কুড়িগ্রামের কৃষক
সার সংকটে কুড়িগ্রামের কৃষক
গৌরীপুরে ৫৫টি পূজা মণ্ডপে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি
গৌরীপুরে ৫৫টি পূজা মণ্ডপে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি