থমথমে রাবি ক্যাম্পাসে নেই রাকসুর প্রচারণাও


পোষ্য কোটায় ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণার পর থেকেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। শনিবার রাতে প্রশাসনের ওই ঘোষণার পর রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক, একাডেমিক ভবন ও চত্বরগুলোতে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক উপস্থিতি দেখা যায়নি; অধিকাংশ জায়গায় নীরবতা বিরাজ করছে।
গত কয়েকদিন ধরে শিক্ষার্থীদের একাংশের কঠোর আন্দোলন, অনশন ও প্রশাসনের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় সাধারণ কৌতূহলবশত বা নিরাপত্তাহীনতার ভয়ে অনেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে আসা এড়াচ্ছেন। শনিবারের সংঘর্ষে উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রারসহ কয়েকজন কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থী আহত হওয়ার পর থেকেই পরিস্থিতি আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল দেখা গেলেও ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে লোকচলাচল অত্যন্ত কম। শহীদ স্মৃতি সৌধ, টুকিটাকি চত্বর ও চারুকলা চত্বরসহ মূল ফটকের আশেপাশের এলাকা প্রায় সুনসান।
এদিকে প্রশাসন রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিন্ডিকেটের জরুরি বৈঠক ডেকেছে; শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর বিক্ষোভ–আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সভা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার গাজিউর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “শনিবার রাত ৩টার দিকে ভিসি স্যার পোষ্য কোটায় ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা দিলে আন্দোলনকারী সবাই চলে গেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। তবে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। যদিও ক্যাম্পাসে আমাদের অনুমতি ছাড়া যাওয়া যায় না—তাই বাহিরের অংশে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।”
রাবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন ঘিরে এই উত্তেজনা সরাসরি প্রভাব ফেলেছে — রোববার সকাল থেকে কাউকে কোনো প্রচারণা-প্রচারণা চালাতে দেখা যায়নি এবং গুঞ্জন রয়েছে যে পরিস্থিতি অনুকূল না হলে রাকসু নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে।
রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার এফ. নজরুল ইসলাম বলেন, “রাকসু নির্বাচন নিয়ে কী হবে সে বিষয়ে এখনো কিছু বলতে পারছি না। নির্বাচন কমিশন এগুলো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।”
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ