রাস্তায় পানি, ভোগান্তিতে দুুই গ্রামের হাজারো মানুষ


প্রায় দুুই মাস যাবৎ রাস্তায় জমে আছে হাঁটু পানি, এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকার হাজারো মানুষ। নির্বাচনের আগে রাস্তায় মাটি ফেলার প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচন শেষে কথা রাখে না জনপ্রতিনিধিরা অভিযোগ এলাকাবাসীর। কালিহাতীর নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ও ৫নং ওয়ার্ডের ভোটারদের সাথে এমনই ঘটনা ঘটে আসছে বছরের পর বছর ধরে।
জানা যায়, কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য দীপেশ চন্দ্র ভৌমিক এর বাড়ির সামনে থেকে গ্রাম পুলিশ কিসমত মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটির বেহাল দশা। পুরো রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রায় দুই মাস যাবৎ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ওই দুুই গ্রামের শতাধিক পরিবার। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। গ্রামের যাতায়াতে একটি মাত্র রাস্তায় জলাবদ্ধতা থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকার অগনিত মানুষ। নারান্দিয়া বাজার, নারান্দিয়া টিআরকেএন স্কুল এন্ড কলেজ, নারান্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নারান্দিয়া ও নগরবাড়ী গোরস্থান, কেন্দ্রীয় মসজিদ ও মাদ্রাসায় স্বল্প সময়ে দ্রুত পৌছানোর জন্য প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে পার্শ্ববর্তী নগরবাড়ী, দৌলতপুর ও মাইস্তা গ্রামের স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ অগনিত মানুষ ওই রাস্তায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ নিয়েই যাতায়াত করে থাকে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ও ৫ নং ওয়ার্ডের নারান্দিয়া ও নগরবাড়ী গ্রাম ঘেঁষে বয়ে যাওয়া রাস্তাটি সাবেক ইউপি সদস্য দীপেশ চন্দ্র ভৌমিকের বাড়ী হতে টাঙ্গাইল-ভূঞাপুর মহাসড়ক পর্যন্ত বেহাল দশা দীর্ঘ দিনের। পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিনিয়তই জলাবদ্ধতায় থাকে রাস্তাটি। সামান্য বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায় রাস্তা ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও নারান্দিয়া বাজারে আসা-যাওয়া সাধারণ মানুষের। স্থানীয়রা রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য শেফালী আক্তার বলেন, রাস্তাটির প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদে কাজ আসলে যদি আমাকে কাজ দেয় অবশ্যই কাজ করে দেয়া হবে।
নারান্দিয়া ইউপি সচিব মোস্তফা কামাল বলেন, সরেজমিনে গিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ