ইসলামী আন্দোলন ও জামায়াত জাতীয় বেইমান: এ্যানি


বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগকে সহায়তা করে স্বৈরাচারী হয়ে ওঠার পথ সুগম করেছে জামায়াতে ইসলামি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই দুটি দল ‘জাতীয় বেইমান’ হিসেবে পরিচিত।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর আউটার স্টেডিয়াম মাঠে সদর উপজেলা (পূর্ব) বিএনপির আয়োজিত সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ্যানি বলেন, ১৯৮৫ সালে ও ১৯৯৬ সালে জামায়াত আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়ে শুধু আমাদের সঙ্গে নয়, পুরো জাতির সঙ্গেই বেইমানি করেছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াত একটি আত্মস্বীকৃত জাতীয় বেইমান। ইসলামী আন্দোলন নামধারী দলটি পীর নয়, তারা একেকজন ভণ্ড। গত ১৭ বছরে যখন আমরা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি, তখন ইসলামী আন্দোলনের কোনো খোঁজ পাইনি।’
‘২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনগুলোতে ইসলামী আন্দোলন ‘হাতপাখা’ প্রতীক নিয়ে অংশগ্রহণ করে আওয়ামী লীগকে বৈধতা দিয়েছে। বর্তমানে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন পীরের নামে যে আন্দোলন করছে, তা নির্বাচনী পরিবেশকে ঘোলাটে করছে। তারা নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’
এ্যানি আরও বলেন, ‘ইসলামী দলগুলো এখন বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে। পীরের নামে তারা যে আন্দোলন করছে, তা নির্বাচনী পরিবেশকে অস্থিতিশীল করছে। এসব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যে ইস্পাত কঠিন ঐক্যের’ কথা বলেছিলেন, আমাদের সেই ঐক্য গড়ে তুলতে হবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে।
সদর উপজেলা (পূর্ব) বিএনপির আহ্বায়ক মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সচিব ইসমাইল জবিউল্লাহ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন: বিএনপির সহ-শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম আশরাফ উদ্দিন নিজান; চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ (ভিপি হারুন); জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু; যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাছিবুর রহমান; বাফুফে সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপী; জেলা বিএনপির সদস্য নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া; অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ