মানবতাবিরোধী অপরাধ
শেখ হাসিনার মামলায় জব্দ তালিকার সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ আজ


জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ২১তম দিনের মতো জব্দ তালিকার সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। এর মধ্য দিয়ে ঘটনার সাক্ষীদের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন প্যানেলে জব্দ তালিকার সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিচ্ছেন। এরপর তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দি গ্রহণের পরই শেষ হবে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব। তারপর শুরু হবে যুক্তিতর্ক ও রায় ঘোষণার প্রক্রিয়া।
২২ সেপ্টেম্বর শহীদ মাহামুদুর রহমান সৈকতের বোন সাবরিনা আফরোজ সেবন্তী ৪৯তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন। এর মধ্য দিয়েই ঘটনার সাক্ষ্য শেষ হয়। এর আগে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদকে জেরা করা হয়। তিনি এরও আগে ২০১৩ সালের কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ণনা দিয়ে সাক্ষ্য দেন।
এ মামলার অন্যান্য সাক্ষীদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান এবং রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। বিশেষ করে মামুন ট্রাইব্যুনালে স্বীকার করেছেন যে, শেখ হাসিনা ও কামালের নির্দেশে জুলাই-আগস্টে গণহত্যা চালানো হয়েছিল।
সাক্ষীদের জবানবন্দিতে আন্দোলনের সময় হত্যাযজ্ঞের ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। শহীদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা শেখ হাসিনা, কামালসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
গত ১০ জুলাই এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগপত্রটি মোট ৮,৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র ২,০১৮ পৃষ্ঠা, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণ ৪,০০৫ পৃষ্ঠা এবং শহীদদের তালিকা ২,৭২৪ পৃষ্ঠা। সাক্ষী রাখা হয়েছে মোট ৮১ জনকে। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত সংস্থা।
ভিওডি বাংলা/জা