রাজবাড়ীতে সবজির বাজারে আগুন, নাভিশ্বাস ক্রেতাদের


রাজবাড়ীতে সবজির বাজারে হঠাৎ আগুন, দাম বেড়ে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ভোরে শহরের পাইকারি ও খুচরা কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, দরদাম করে এক-দুই কেজির বেশি কেউ কিনতে পারছেন না। সরবরাহ কমে যাওয়ায় চাহিদার তুলনায় দাম হু-হু করে বেড়ে গেছে।
খুচরা বাজারে বেগুন বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৮০ টাকায়, যেখানে খুচরা বিক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকায়। উস্তা ৭০-৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা এবং লাউ প্রতিটি ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নতুন করে বাজারে এসেছে কয়েকটি শীতকালীন সবজি। তবে তার দাম আকাশছোঁয়া ফুলকপি কেজি প্রতি ১৫০-১৬০ টাকা এবং পাতা কপি ৮০-৯০ টাকা। তুলনামূলকভাবে সস্তায় মিলছে গোলআলু, পেঁপে ও কচুমুখি, এগুলোর দাম ২৫-৩৫ টাকা কেজি। নিম্নআয়ের মানুষ তাই এই তিনটি সবজির ওপরই ভরসা করছেন।
সবজি বিক্রেতারা জানান, টানা বর্ষায় গ্রীষ্মকালীন সবজির উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। আবার শীতকালীন সবজি এখনো পুরোপুরি বাজারে আসেনি। ফলে বাজারে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশি।
শহরের প্রধান বাজারের এক সবজি ব্যবসায়ী বলেন, “আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে সরবরাহ বাড়লে দামও স্বাভাবিক হয়ে আসবে।”
খুচরা সবজি ব্যবসায়ী কোরবান শেখ বলেন, “আমরাও হিসেব করে সবজি কিনছি। দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতারা কম কিনছেন। ছোট একটি লাউ কিনতে হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকায়। দোকানে এনে বিক্রি করতে গেলে ক্রেতারা দাম শুনেই চলে যান।”
সবজির বাড়তি দামে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। বাজার করতে আসা সাহানা ইয়াসমিন নামে এক গৃহিণী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “প্রতিদিনের বাজার করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। আগে ২০০ টাকায় তিন-চার রকম সবজি নেওয়া যেত। এখন ওই টাকায় দুই কেজিও হয় না।”
দোকানিরা জানান, ক্রেতারা কম কিনছেন বলে বিক্রিও কমে গেছে। এতে ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ