• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার কবলে পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বর

রাজশাহী ব্যুরো    ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:০৮ পি.এম.
ছবি: ভিওডি বাংলা

সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ফলে হাসপাতালটিতে সেবা নিতে এসে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে রোগী ও তাদের স্বজনদের।

এলাকাবাসীরা জানান, সরকারের সুদৃষ্টির অভাবেই হাসপাতালটির এমন বেহাল দশা। নিচু জায়গায় হওয়ায় বাড়ি, রাস্তা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নোংরা পঁচা ও দুগন্ধযুক্ত পানি এখানে জমা হয়। হাসপাতালটি এখন মশা উৎপাদনের কারখানায় পরিণত হয়েছে।

তবে সদ্য যোগদানকৃত পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সূচনা মনোহারা জানিয়েছেন, আমি এক সপ্তাহ আগে এখানে যোগদান করেছি। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানিয়েছি। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেবেন।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান ফটক থেকে সপাতালের ভেতর পর্যন্ত পানি পেরিয়ে অতিকষ্টে  চলাচল করতে হচ্ছে রোগী ও তাদের সঙ্গে থাকা স্বজনদের। তাদের যাতায়াতের সুবিধার্থে কোন ব্যবস্থা করেননি কর্তৃপক্ষ।

এদিকে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, পানি জমে রয়েছে হাসপাতালের চারপাশে। আর সেই পানির সঙ্গে মিশে গেছে হাসপাতালে নোংরা- পঁচা ড্রেনের পানি। এছাড়াও মহিলা ওয়ার্ডের রোগী ও স্বজনদের জন্য যে টয়লেটের রয়েছে সেই টয়লেটের পাইপ থেকে মলমুত্র বের হয়ে এসে সেই পানিতে মিলিত হচ্ছে। এই রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় অনেকেই পা পিছলে পানিতে পড়ে আহত হচ্ছেন। নষ্ট হচ্ছে শরীররে পরিধানকৃত পোশাক। এতে আতঙ্কিত হচ্ছেন রোগী ও তাদের সাথে থাকা স্বজনরা।

নাম গোপন রাখা সত্তে অত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক মেডিকেল অফিসার বলেন, ভারী বৃষ্টি হলে অতিরিক্ত পানি জমা হওয়ার কারণে আমরা নিজেরাও ঠিক মত অফিসে আসা-যাওয়া করতে পারিনা। যদিও হাসপাতালে বিভিন্ন জায়গাতে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন তৈরি করা হয়েছে কিন্তু এগুলো দেখভালে দায়িত্বে যিনি আছেন তার উদাসীনতার কারণেই পাতা পড়ে এবং ময়লা জমে পানি নামা রাস্তাগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে মূলত এই সমস্যাগুলো প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা চাই এর একটি স্থায়ী সমাধান।

সৃষ্ট সমস্যা নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর একজন মেডিকেল অফিসার জানান, হাসপাতালের এ সমস্যাটি দীর্ঘ দিনের। সমস্যাটি সমাধানের জন্য উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায় ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে বেশ কয়েক বার বলেছি। প্রতিদিন কয়েক সহস্রাধিক রোগী সেবা নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে। বৃষ্টি হলে সাধারণ রোগীসহ আমাদের স্টাফদেরকেও হাসপাতালে প্রবেশ করতে অনেক কষ্ট হয়। আমি জরুরি ভিত্তিতে সমস্যাটি সমাধানের দাবি জানাচ্ছি। 

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নলছিটিতে দপ্তরির ইঁদুর মারা ফাঁদে স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মীর মৃত্যু
নলছিটিতে দপ্তরির ইঁদুর মারা ফাঁদে স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মীর মৃত্যু
পাশাপাশি তিন ভাইয়ের কবর, কুমারখালীর মোহাম্মদ চলছে শোকের মাতম
পাশাপাশি তিন ভাইয়ের কবর, কুমারখালীর মোহাম্মদ চলছে শোকের মাতম
নাগরপুরে খেজুরের রস আহরণে ব্যস্ত গাছিরা
নাগরপুরে খেজুরের রস আহরণে ব্যস্ত গাছিরা