“লক্ষ্য ছিল না, তবু ব্যালন ডি’অর বিশেষ”—দেম্বেলে


গত মৌসুমে পিএসজিকে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে সাহায্য করে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় স্বীকৃতি পেয়েছেন উসমান দেম্বেলে। ফরাসি এই ফরোয়ার্ড জিতেছেন ব্যালন ডি’অর। ২০২২ সালে করিম বেনজেমার পর এই পুরস্কার জেতা প্রথম ফরাসি ফুটবলার তিনি।
ব্যালন ডি’অর জেতা তার ব্যক্তিগত লক্ষ্য ছিল না বলে জানান দেম্বেলে। তবে সোমবার বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে নাম ঘোষণার পর আবেগ সামলাতে পারেননি তিনি। পরিবার ও কাছের মানুষের কথা বলতে গিয়ে চোখ ভিজে যায় তার। রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেম্বেলে বলেন,
“আমি আসলে কাঁদতে চাইনি। কিন্তু পরিবার আর যারা আমার পাশে ছিলেন, তাদের কথা বলতে গিয়ে আর নিজেকে থামাতে পারিনি।”
২৮ বছর বয়সী দেম্বেলে প্যারিসে অনুষ্ঠিত জমকালো অনুষ্ঠানে বার্সেলোনার কিশোর সেনসেশন লামিনে ইয়ামালকে পেছনে ফেলে ব্যালন ডি’অর জেতেন। তার আগে ২০২৪ সালে এ পুরস্কার পেয়েছিলেন ম্যানচেস্টার সিটি ও স্পেনের মিডফিল্ডার রদ্রি।
বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ও বার্সেলোনার সাবেক এই উইঙ্গার ২০১৮ সালে বিশ্বকাপ জয়ী ফ্রান্স দলেরও সদস্য ছিলেন। গত মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৫ গোল করে পিএসজিকে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতানোর পাশাপাশি লিগ ও কাপ ‘ডাবল’ জিততেও বড় অবদান রাখেন তিনি। দেম্বেলের ভাষায়,
“এটা কখনও আমার ব্যক্তিগত লক্ষ্য ছিল না। তবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে এমন একটি ট্রফি পাওয়া দারুণ। যখন এটা ঘটে, তখন খুশি লাগে, আনন্দ লাগে।”
বেনজেমার মতো তাকেও কি ‘জনতার ব্যালন ডি’অর’ বলা যায়—এমন প্রশ্নে দেম্বেলে হেসে উত্তর দেন,
“বেনজেমাই জনতার ব্যালন ডি’অর, তিনিই প্রথম। আমি দ্বিতীয়।”
নিজের অর্জনকে শুধু ব্যক্তিগত নয়, দলেরও স্বীকৃতি মনে করেন দেম্বেলে,
“হ্যাঁ, অবশ্যই। এটি পুরো দলের জন্য। যারা আমাকে ভালোবাসেন, সব প্যারিসিয়ান সমর্থকের জন্য, পুরো ক্লাব, কোচিং স্টাফ আর সতীর্থদের জন্য।”
চোটের কারণে কয়েক সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকলেও দ্রুত ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি,
ভিওডি বাংলা/ আরিফ