দুর্নীতির দায়ে বদলী হওয়া শেখ হাসানুজ্জামান সৈয়দপুরে ফেরার পায়তারা


দুর্নীতির দায়ে বদলি হওয়া সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার সাবেক কর্মব্যবস্থাপক শেখ হাসানুজ্জামান পদোন্নতি নিয়ে ফের সৈয়দপুরে আসার পায়তারা করছে বলে খবর চাউর হয়েছে। এ ঘটনায় সৈয়দপুর রেল অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। তিনি বর্তমানে রেল ভবন ঢাকায় পরিচালক (লোকো মেইনটেনেন্স) পদে কর্মরত আছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বর্তমান ও সাবেক শ্রমিক নেতারা অভিযোগ করে বলেন, ওই কর্মকর্তা সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় অবস্থানকালে লোকাল পার্চেজের নামে প্রায় শত কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন। তার এ কাজে প্রত্যক্ষ ভাবে সহযোগিতা করেছে রেল শ্রমিক লীগের কারখানা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোখছেদুল মোমিন। বর্তমানে এই নেতার বিরুদ্ধেও রেলওয়ের মালামাল বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা চলমান রয়েছে। এজন্য তিনি গাঢাকা দিয়ে আছেন।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দেয়া তথ্য মতে, ওই কর্মকর্তাকে পতিত সরকারের আমলে রেল ভবনের সাবেক মহাপরিচালক শামসুজ্জামান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী ও ঠিকাদার আফসার বিশ্বাস রেলওয়ে কারখানার লোকাল পার্চেজের নামে অনিয়ম করার বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেন। এসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকায় মামলা চলমান রয়েছে।
অভিযোগ আছে, সাবেক ওই কর্মব্যবস্থাপক ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় যোগদান করে দীর্ঘ সাত বছর অবস্থান করে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে দুর্নীতির দায়ে বদলী হয়ে ঢাকায় রেল ভবনে যান। চাকরি বিধি লংঘন করে দীর্ঘ সময় একই কর্মস্থলে অবস্থান করায় তাকে গোপালগঞ্জের জামাই হিসাবে সহযোগিতা করেন সেই সময়ের ডিজি শামসুজ্জামান, এডিজি মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী। আর দীর্ঘসময় সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় অবস্থানের সুযোগ নিয়ে এবং আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ নেতাদের বাড়তি সুযোগ দিয়ে মালামাল ক্রয়ের নামে করেছেন তিনি শত কোটি টাকার দুর্নীতি। সেই সময়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় বৃদ্ধি পেয়েছিলো স্মরণকালের চুরি এবং রেলের সম্পদ দখলের হিড়িক। এমন কর্মকর্তাকে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় ফিরে আসার সুযোগ করে দেয়া হলে কারখানাটি ধ্বংস হয়ে যাবে বলে একাধিক শ্রমিক নেতার অভিযোগ।
সৈয়দপুর ফিরে আসার বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে রেল ভবনে কর্মরত পরিচালক (লোকো মেইনটেনেন্স) শেখ হাসানুজ্জামানের মুঠোফোনে বার বার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বর্তমান বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ মুঠোফোনে বলেন, আমার চেয়ারে আসতে অনেকে রেল ভবনে লবিং করছেন বলে শুনেছি। তবে ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না বলে আমি মনে করি।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ