ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল ফ্রান্স


ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ফ্রান্স। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকের আগে এ ঘোষণা দেয় দেশটি। এর ফলে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া সর্বশেষ দেশ হলো ফ্রান্স, যা ইস্যুটিতে আন্তর্জাতিক সমর্থন আরও জোরদার করল। এই পদক্ষেপ এমন এক সময়ে এলো যখন গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন চলছে। খবর বিবিসি।
জাতিসংঘে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, “শান্তির সময় এসেছে” এবং “গাজায় চলমান যুদ্ধকে কিছুই ন্যায্যতা দেয় না।”
ফ্রান্স ও সৌদি আরব একযোগে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা তথা দুই-রাষ্ট্র সমাধান ইস্যুতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে এক দিনের শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করছে। তবে জি৭–এর সদস্য জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাষ্ট্র এতে অংশ নেয়নি।
আগামী দিনে বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, আন্দোরা ও সান মারিনোও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে বলে জানা গেছে। এর আগে রবিবার যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগাল ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
এর ফলে গাজায় মানবিক সংকট ও পশ্চিম তীরে বসতি নির্মাণের কারণে ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে। তবে ইসরায়েল বলেছে, এ ধরনের স্বীকৃতি মূলত হামাসকে পুরস্কৃত করার শামিল। কারণ ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস দক্ষিণ ইসরায়েলে আক্রমণ চালিয়ে প্রায় ১,২০০ জনকে হত্যা করে এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এর পর থেকে ইসরায়েলের অভিযানে ৬৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বর্তমানে গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার লক্ষ্যে ইসরায়েলি সেনারা স্থল অভিযান চালাচ্ছে।
ম্যাক্রোঁ বলেন, এখন যুদ্ধ বন্ধ করার এবং হামাসের হাতে আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করার সময় এসেছে। তিনি সতর্ক করেন, “ন্যায় সর্বদা শক্তির ওপরে প্রাধান্য পেতে হবে।”
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহানও দুই-রাষ্ট্র সমাধানকে স্থায়ী শান্তির একমাত্র উপায় হিসেবে তুলে ধরেন।
১৯৮৮ সালে ইয়াসির আরাফাতের স্বাধীনতা ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যের মধ্যে দেড়শ’র বেশি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোর আশা, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির মাধ্যমে বহুপ্রতীক্ষিত দুই-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান প্রক্রিয়া নতুন গতি পাবে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে ইসরায়েল আগের মতোই নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
ভিওডি বাংলা/ আরিফ