তারেক রহমানের নাম ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল হয়ে থাকবে: রিজভী


বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জাতীয়তাবাদী পতাকা নিয়ে এই ‘রক্ত পিপাসু শেখ হাসিনাকে পরাজিত’ করতে তারেক রহমান যে পটভূমি রচনা করেছেন এবং তরুণদের উদ্বুদ্ধ করে রাজপথে নামিয়েছেন, তা ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানের শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বরগুনা ও পিরোজপুর জেলা বিএনপির সদ্য ঘোষিত কমিটির নেতারাসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
রিজভী বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেওয়ার পর তারেক রহমান জাতীয়তাবাদী পতাকা হাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি শুধু দেশীয় রাজনীতি নয়, প্রবাসে থেকেও সংগঠনকে সুসংগঠিত করেছেন এবং তরুণ প্রজন্মকে গণতন্ত্রের সংগ্রামে সম্পৃক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, তারেক রহমান আন্দোলনের সময় তরুণদের সামনে নেতৃত্বের যে উদাহরণ স্থাপন করেছেন তা দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন প্রজন্মকে প্রেরণা জোগাবে।
রিজভী বলেন, গত ১৬ বছর ধরে বিএনপির সংগ্রাম শুধু একটি লক্ষ্যেই—গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার। এই সংগ্রাম দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছেন। মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছেন।’ বহু ধরনের ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত, নীল নকশা এবং মাস্টার প্ল্যান এখনো শেষ হয়নি। এসব ষড়যন্ত্রের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ নিজেদের ক্ষমতায় টিকিয়ে রেখেছে।
রিজভী আরোও বলেন, আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপি থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়-স্বজন পর্যন্ত বিদেশে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। রিজভী বলেন, ‘নিউইয়র্ক, লন্ডন, দুবাই, কানাডা, অটোয়া ও সিডনিতে তাদের সম্পদের সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছে। খবরের কাগজেই বেরিয়েছে—আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের লোকজন, এমনকি প্রধানমন্ত্রীর ভাগ্নি-আত্মীয় পর্যন্ত ৬০২টি সম্পদ বা প্লট পেয়েছে।
এসময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বরগুনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম মোল্লা, সদস্য সচিব হুমায়ুন হোসেন শাহিন এবং পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খান ও সদস্য সচিবসহ নবগঠিত কমিটির নেতাদের নাম উল্লেখ করেন। রিজভী বলেন, এই নেতারা আন্দোলন-সংগ্রামে আপসহীন থেকেছেন। পুলিশের নির্যাতন-নিপীড়নের মধ্যেও তারা রাজপথে সক্রিয় ছিলেন।
আন্দোলনের শহীদদের কথা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘ওয়াসিম আকরাম, আবু সাঈদ, মুগ্ধর রক্ত বৃথা যাবে না। তাদের আত্মত্যাগ এই দেশের মানুষকে গণতন্ত্রের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত অনুপ্রাণিত করবে।’
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ