প্রবাসী স্বামী ও সন্তান রেখে প্রেমিকের বাড়িতে গৃহবধূর অবস্থান


রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার বাবুপাড়া ইউনিয়নের ভট্টাচার্যপাড়া গ্রামে প্রবাসী স্বামী ও সন্তান রেখে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছেন এক গৃহবধূ। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাগুড়াডাঙ্গী গ্রামের সৌদিআরব প্রবাসী মহিদুলের স্ত্রী মরিয়ম আক্তার (২৫) গত ২৩ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে ভট্টাচার্যপাড়া গ্রামের কামরুল ইসলামের বাড়িতে অবস্থান করছেন। এ ঘটনায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আপোষ মীমাংসার চেষ্টা করলেও মরিয়ম আক্তার সেখান থেকে সরেননি। মহিদুল ও মরিয়মের সংসারে ৫ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
অন্যদিকে, কামরুল ইসলামও বিবাহিত। তার স্ত্রী ও ৪ বছর বয়সী একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। মরিয়ম তার বাড়িতে অবস্থান করার পর থেকে সে বাড়ি ছেড়ে পলাতক রয়েছেন।
এ বিষয়ে মরিয়ম আক্তার জানান, কামরুলের সাথে তার প্রায় ৮-৯ মাস পূর্ব থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তার স্বামী প্রবাসে যাওয়ার পর থেকে সম্পর্কটি আরো গভীর হয়। সে সূত্র ধরে কামরুল তার কন্যা সন্তানসহ তাকে বিবাহ করতে রাজি হয় বলে জানান। গতকাল মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) তারা দুজনেই বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন এবং পথে তাদের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হলে স্থানীয়রা তাদেরকে বাড়ি চলে যেতে বলেন। তারপর সে ওই বাড়িতে অবস্থান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
তিনি আরও জানান, স্বামীর সংসার ও বাবার বাড়িতেও স্থান না পাওয়ায় কামরুলের কাছ থেকে তিনি এখন সামাজিক স্বীকৃতি চান।
কামরুলের বর্তমান স্ত্রী জানান, ওই মেয়েটি আমার স্বামীর ফোনে ফোন দিতো। আমি ফোন ধরলে বলে তার সাথে ভাই পেতেছে। স্বামী বিদেশ থাকায় সময় কাটানোর জন্য তার স্বামীর সাথে কথা বলতো সে। বাড়িতে আসার পর স্থানীয়রা রাতে সালিশ করে মেয়েটিকে চলে যাওয়ার কথা বলেন। সে তখন বাড়ি থেকে চলেও যায়। রাত দেড়টার দিকে আবারও আমাদের বাড়িতে চলে আসে।
এসময় তিনি জান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমাদের সন্তান আছে। আমি চাইনা যে, আমার জীবনটা নষ্ট হোক, ওর জীবনটাও নষ্ট হোক। আমি অনেক কষ্টে জীবনযাপন করি। আমার থেকে ও ভালোই ছিলো। ও চলে গেলে আমাদের সবারই মঙ্গল।
এ নিয়ে কামরুলের মা ও প্রতিবেশীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মেয়েটি কামরুলকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। মোবাইলে কথা বললেই কারো সাথে অনৈতিক সম্পর্ক হয়ে যায় না। রাতে এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে সালিশও হয়েছে। তারা মেয়েটিকে বাবার বাড়িতে চলে যেতে বলেছিল কিন্তু সে কারো প্ররোচনায় সেখানে না গিয়ে এখনও এখানে বসে আছে।
তবে এলাকার অনেকেই বলছেন, স্বামী-সন্তান রেখে আরেকটি বিবাহিত পুরুষকে কেউ বিবাহ করতে পারে না। এটা ইসলাম সমর্থন করে না। তাই তারা মেয়েটিকে তার ভুল বুঝে স্বামীর সংসার অথবা বাবার বাড়িতে চলে যেতে বলেছেন।
বিষয়টি ওই এলাকায় এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ