নড়াইল-১ আসনের সাবেক এমপি মুক্তি বিশ্বাস গ্রেপ্তার


নড়াইল-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কবিরুল হক মুক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত সোয়া ৯ টার দিকে ঢাকার গুলশানের নিকেতন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ডিএমপি সূত্র জানায়, নড়াইল–১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তির নামে একাধিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে গত বছর গণ–অভ্যুত্থান পরবর্তী নড়াইলে কয়েকটি মামলা দায়ের হয়েছে তার বিরুদ্ধে। তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে, সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ইতোমধ্যে মুক্তি ও তার স্ত্রী চন্দনা হকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক)।
কবিরুল হক মুক্তি নড়াইল-১ আসন থেকে ২০০৮ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ থেকে টানা চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। গত বছর গণ–অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এলাকায় প্রকাশ্যে দেখা যায়নি তাকে ।
এদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মুক্তি ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর গত ২০ আগস্ট ফেসবুক আইডিতে প্রতিক্রিয়া জানান তিনি (মুক্তি)। তার প্রতিক্রিয়াটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে ৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং মানি লন্ডারিংয়ের একটি কাল্পনিক মামলা করেছে!
বিষয়টি নিয়ে আমি মোটেও বিচলিত নয় বরং নিজেকে প্রমাণ করার একটা দ্বার উন্মোচিত হয়েছে আমার সামনে।
এর মাধ্যমেই প্রমাণিত হবে আমি দুই বারের মেয়র এবং চারবারের সংসদ সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন কালিন সময়ে আমি কতটা অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছি বা কতটা সুযোগ সুবিধা নিয়ে আমি সম্পদের মালিক হয়েছি।
দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার ফলে কিছু মানুষের ধারণা ছিলো আমি বা আমার পরিবার শত শত, হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক। সেই সকল মানুষের জন্য আমার একরাশ সহানুভূতি থাকলো এবং তাদের প্রতি আমি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলাম এই মামলার মধ্য দিয়ে আমি প্রমাণ করবো ( যদি রাজনৈতিক বিবেচনায় বিচার না হয়) আমি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে কখনো কোন সময় অর্থ-বিত্ত বৈভবের দিকে তাকাইনি এবং অনৈতিক সুযোগ নিয়ে ব্যাক্তিগত ভাবে লাভবান হওয়ার নূন্যতম চেষ্টা কখনো করিনি।
সুতরাং এই কাল্পনিক মামলা আমি চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিলাম এবং এই মামলার বিচারের মধ্য দিয়ে আমি প্রমাণ করবো আমি রাজনীতি করি মানুষের জন্য। আমি রাজনীতি করি দেশের জন্য। নিজের জন্য বা পরিবারের জন্য নয়।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ