• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১
টপ নিউজ
মেধা কাজে লাগালে বিশ্বে স্বনামধন্য হওয়া যায় - আবদুস সালাম হোয়াটসঅ্যাপের নতুন চমক ‘শিডিউল কল’ ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের পূজা প্রস্তুতি পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে: আমিনুল হক ডাকসুর নেত্রীদের ‘গৃহদাসী’ মন্তব্য করে চাকরি হারালেন ব্র্যাক গবেষক ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকী’র পাশে তারেক রহমান ১৩ দিনে ১৬ হাজার কোটি টাকা রেমিট্যান্স এরদোগানের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল আঙ্কারা মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজের নবীনবরন অনুষ্ঠানে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে তারেক রহমানের বাণী

গুজব প্রতিরোধে বিএনপির করণীয়

মো: শফিকুল আলম    ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৯ পি.এম.
মো: শফিকুল আলম, লেখক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক । ছবি: সংগৃহীত

এটা সন্দেহাতীত যে, বিএনপি একটি সর্ববৃহৎ, জনপ্রিয় এবং জনমানুষের দল। দলটির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের ১ লা সেপ্টেম্বর এ দলটি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। শহীদ জিয়া এবং মাদার অব ডেমোক্রেসী বেগম খালেদা জিয়ার সততা, দেশপ্রেম, আত্মত্যাগ এবং সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে নিরলস প্রচেষ্টার দৃশ্যমান উন্নয়নের রুপকার হিসেবে এবং তারেক রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ফলশ্রুতিতেই বিএনপি আজকে একটি সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। কিন্তু একটি দেশ বিরোধী অসাধু চক্র এবং বিদেশি অপশক্তি প্রতিনিয়ত বিএনপিকে ভাঙার এবং দূর্বল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল এবং আছে। আর এজন্য তাদের প্রথম হাতিয়ার হচ্ছে, গুজব বা অপপ্রচার। বিশেষভাবে জুলাই -আগষ্টের গণ-অভ্যুত্থানের পরে বিএনপির বিরুদ্ধে যেভাবে অপপ্রচার এবং গুজব ছড়ানো হচ্ছে, তা বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়।

গুজব বা অপপ্রচার মানুষের মনে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করে। ফলে সাধারণ মানুষ বিএনপির প্রতি বিশ্বাস হারাতে পারে এবং  দলটির প্রতি সমর্থন কমিয়ে দিতে পারে। ফলে  দলের নেতৃত্বের ভাবমূর্তি ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। 

আর তাই, বিএনপির হাইকমান্ড জনাব তারেক রহমান এবং দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সদস্যদের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিতে হবে এবং গুজব বা অপপ্রচার প্রতিরোধে যথাযথ ও কার্যকর কৌশল গ্রহন করতে হবে। 

এক্ষেত্রে,দল হিসেবে বিএনপির করণীয়:

১. মিথ্যা খবর যাচাই করার জন্য অফিসিয়াল সোর্স ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়া কঠোরভাবে মনিটরিং করতে হবে। 

২. অনলাইন এবং অফলাইন উভয় মাধ্যমে জেলা, উপজেলা, ওয়ার্ড পর্যায়ে সোশ্যাল মিডিয়া ও প্রচারপত্র ব্যাবহার করে মিথ্যা তথ্যের বিপরীতে সঠিক তথ্য সর্বস্তরের জনগণ এবং কর্মী- সমর্থকদের নিকট পৌঁছাতে হবে ও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। 

৩. কোন ব্যাক্তি, গোষ্ঠী, প্রতিষ্ঠান বা রাজনৈতিক দল মিথ্যা তথ্য কিম্বা গুজব অথবা অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। গুজবের স্বপক্ষে প্রমাণ দিতে না পারলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জনসম্মুখে কিম্বা মিডিয়ার সামনে হাজির করে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে এবং যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। 

৪. এজন্য প্রয়োজনে দলটিকে সাধারণ মানুষ, দলের সকল স্তরের নেতাকর্মী, শুভাকাঙ্খী, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের ব্যাক্তিবর্গ এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজে লাগাতে হবে এবং বিভিন্ন কার্যকর কৌশল ও পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। 
৫. দলের মেধাবী, সৎ, ত্যাগী, পরিশ্রমী, দলের প্রতি একনিষ্ঠ ও অনুগত এবং সর্বোপরি দেশপ্রেমিক নেতা ও কর্মীদেরকে যথাযথ মূল্যায়নের মাধ্যমে পুরস্কৃত করতে হবে।

৬. পাশাপাশি অবশ্যই দলের ভিতরে থাকা যেসব বাটপার, অসৎ, ধান্দাবাজ, চাঁদাবাজ এককথায় যারা খারাপ প্রকৃতির লোক, চিরুনী অভিযানের মাধ্যমে তাদের অতিদ্রুত চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 

অন্যথায়, সামনের দিনগুলোতে বিএনপির জনসমর্থন বিপুলভাবে হ্রাস পাবে এবং আগামী নির্বাচনে এর নেতিবাচক  প্রভাব পড়বে পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে দলটির সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যা একটি দলের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য বড় হুমকি।

[নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। ভিওডি বাংলা সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, ভিওডি বাংলা কর্তৃপক্ষের নয়]

মো: শফিকুল আলম, লেখক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক
 
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ


  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন