আমি যতদিন আছি, সারের দাম কোনোভাবেই বাড়বে না : কৃষি উপদেষ্টা


আরাকান আর্মি থেকে আসা ইয়াবার বিনিময়ে বাংলাদেশ থেকে সার, ওষুধ ও চাল পাচার হয় বলে জানিয়েছেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক বছরের অর্জন ও অগ্রগতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য দেন।
উপদেষ্টা বলেন, “আরাকান আর্মিরা ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তারা ইয়াবা দিয়ে বিনিময়ে বাংলাদেশ থেকে সার, ওষুধ, চাল পাচার করে। এজন্য নৌবাহিনী, কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্ট সব বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যেন কোনোভাবেই পাচার না হয়।”
তিনি জানান, দেশের সার সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। আগামী অর্থবছরে সম্ভাব্য ঘাটতি মোকাবিলায় আমদানিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সার সরবরাহ ব্যবস্থায় পূর্বের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে, ফলে সারের দাম বাড়বে না। তার ভাষ্য, “আমি যতদিন আছি, সারের দাম কোনোভাবেই বাড়বে না।” বেশি দামে জ্বালানি কিনে সার উৎপাদন হলেও সারের দাম সমন্বয় করা হবে না। পাচার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ সময় তিনি জানান, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফিন্যান্স করপোরেশন বিএডিসিকে সার ক্রয়ে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এরই মধ্যে ১০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এছাড়া জৈব সারের ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং বালাইনাশক বিধিমালা সংশোধন প্রক্রিয়াধীন।
তিনি আরও বলেন, “কোনো অবস্থাতেই ফসলি জমি নষ্ট করা যাবে না। দুই ফসলি ও তিন ফসলি জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। কৃষিজমি সংরক্ষণের জন্য কঠোর বিধান রেখে ভূমি ব্যবহার ও কৃষি ভূমি সুরক্ষা অধ্যাদেশ প্রণয়ন প্রক্রিয়া চলছে।”
ভিওডি বাংলা/ আরিফ