পাংশায় জনতার হাতে ধর্মীয় লেবাসধারী প্রতারক আটক


রাজবাড়ীর পাংশায় ধর্মীয় লেবাসধারী এক প্রতারককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাংশা সাব-রেজিঃ অফিস এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে কয়েকটি আইডি কার্ডের ফটোকপি, ইউপি চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্র ও কবিরাজি চিকিৎসার বেশকিছু লিফলেট পাওয়া যায়।
আটককৃত ওই ব্যক্তি মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার হরিন্দি গ্রামের মো. আকামত মোল্লার ছেলে মো. নাজিম মোল্লা (৪০)।
জানা যায়, পাংশা এন.আর ক্লিনিকের মালিক ডা. নাসির উদ্দিন তাকে ৪ টি কোরআন শরীফ দেন মাদ্রাসায় দেয়ার জন্য। কিন্তু তিনি সেটা মাদ্রাসায় না দিয়ে ২শ টাকার বিনিময়ে বাজারে এনে ছাত্রবন্ধু লাইব্রেরিতে বিক্রি করে দেন। পরে তিনি ফটোকপির দোকানে গিয়ে কবিরাজি চিকিৎসার একটি লিফলেট ফটোকপি করতে যান। লিফলেটে লেখা ছিলো 'কবিরাজ হাজী আব্দুলাহ জাহাঙ্গীর হুজুরের আশ্চর্য চিকিৎসা।'
এসময় ফটোকপির দোকান মালিক মো. মামুন তাকে দেখে সন্দেহ করেন এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারেন, তিনি কোন হাজী নন। এমনকি লেখাপড়াও জানেন না।
হাতেনাতে আটককারী মামুন বলেন, তার হাতে থাকা লিফলেট দেখে আমার সন্দেহ হয়। তাই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। এসময় তিনি এলোমেলো কথা বলতে থাকেন। তার আইডি কার্ডের নামের সাথে লিফলেটে দেয়া নামের কোন মিল নেই।
তিনি আরও বলেন, ওই প্রতারক দাবী করেন তার ভক্তরা হাদিয়া হিসেবে তাকে বিভিন্ন সময় কোরআন শরীফ হাদিয়া দেন। সেটাই নাকি সে বিক্রি করেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা।
ছাত্রবন্ধু লাইব্রেরির মালিক আব্দুর রশিদ ২শ টাকায় ৪টি কোরআন শরীফ কেনার কথা স্বীকার করেন।
এসময় উপস্থিত আরো অনেকেই বলেন, সে ধর্মীয় লেবাস ধরে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে। যা ইসলামকে সমর্থন করে না। এই প্রতারকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন তারা।
পরে স্থানীয়রা পাংশা মডেল থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে আটক করে নিয়ে যায়।
পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানান আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ