পূজার রঙে, শাড়ি-ফ্যাশনে জমজমাট রাজশাহী


রাজশাহীর সাহেববাজার, মনিচত্বর আর নগরীর বড় বড় শপিংমলগুলোতে ঢুকলেই বোঝা যায়, পূজা এসে গেছে দরজায় কড়া নাড়তে। দোকানের একপাশে সাজানো কটন-সিল্কের শাড়ি, অন্যপাশে হ্যান্ডলুম, টাঙ্গাইল, জামদানি কিংবা ঢাকাই। চারদিকে রঙের উৎসব লাল, হলুদ, গোলাপি থেকে শুরু করে আভিজাত্যপূর্ণ রূপালি আর সোনালি। যেন একেকটা শাড়ি পূজার আনন্দেরই প্রতিচ্ছবি। শুধু শাড়িই নয়, তরুণীরা এবার বেশি ঝুঁকছেন লেহেঙ্গা, গাউন আর ফিউশন ড্রেসের দিকে।
কলেজপড়ুয়া স্নিগ্ধা জানালেন, “আমার কাছে পূজা মানেই নতুন লুক। তাই শাড়ির পাশাপাশি একটা ওয়েস্টার্ন কাট কুর্তিও কিনেছি। এবার বন্ধুদের সঙ্গে প্যান্ডেলে ঘুরতে ফ্যাশনটা জমবে।” অন্যদিকে পরিবারকেন্দ্রিক ক্রেতারা এখনো ঐতিহ্যের দিকেই বেশি আগ্রহী। সাহেববাজারের এক ক্রেত্রী বললেন, “শাড়ি ছাড়া পূজার আনন্দই যেন অসম্পূর্ণ। তাই প্রত্যেক বছর নতুন শাড়ি কেনাটা আমাদের পরিবারের জন্য আবেগের মতো।” দোকানদারদেরও মুখে হাসি। সাহেববাজারের এক শাড়ি ব্যবসায়ী জানান, পূজার আগে ক্রেতাদের ভিড়ই সবচেয়ে বড় প্রমাণ যে বাঙালির উৎসব আনন্দ এখনো রঙ আর পোশাকের সৌন্দর্যে মাখামাখি। “আমরা এবার বিশেষ ছাড়ও রেখেছি। তরুণদের জন্য নতুন কালেকশন আর পরিবারদের জন্য ঐতিহ্যবাহী ডিজাইন সবই মজুত আছে।
এবারের পূজা ফ্যাশনে সবচেয়ে নজর কেড়েছে রঙের ট্রেন্ড। তরুণীরা বেছে নিচ্ছেন উজ্জ্বল লাল, ম্যাজেন্টা ও রয়্যাল ব্লু। আবার অনেকেই ঝুঁকছেন সফট শেড যেমন প্যাস্টেল পিংক, অফ হোয়াইট ও মেরুনের দিকে। ডিজাইনে এসেছে ব্লক প্রিন্ট, এমব্রয়ডারি আর সিকুয়েন্স ওয়ার্কের আধিপত্য। প্রসাধনী, গয়না আর অ্যাকসেসরিজের দোকানেও একই ভিড়। গয়নার দোকানে কৃত্রিম নেকলেস সেট থেকে শুরু করে হালকা সোনার গয়না পর্যন্ত সমান জনপ্রিয়। প্রসাধনীর দোকানগুলোতে আবার ফেস মেকআপ কিটের বিক্রি বেড়েছে।
স্থানীয় সংস্কৃতি বিশ্লেষকরা বলছেন, পূজার কেনাকাটা শুধু বাজারের বাণিজ্য নয়, এটি আসলে পারিবারিক মিলনমেলা ও আবেগের অংশ। এই কেনাকাটার ভিড়েই মিশে থাকে উৎসবের অপেক্ষা, আনন্দ আর একাত্মতার অনুভূতি।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ