গকসু নির্বাচনে ভিপি ইয়াসিন, জিএস রায়হান


সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল আলম আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন। এ সময় কমিশনের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
ঘোষিত ফলাফলে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে বিজয়ী হয়েছেন বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াছিন আল মৃদুল দেওয়ান। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হয়েছেন ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রায়হান খান। সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে জয় পেয়েছেন সামিউল হাসান শোভন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে প্রায় ৭৫ শতাংশ ভোটার অংশ নেন। ১১টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন মোট ৬৩ জন প্রার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯টি কেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। ভোটার ছিলেন মোট ৪ হাজার ৭৬১ জন। ভোট গণনার প্রক্রিয়া এলইডি স্ক্রিনে সরাসরি প্রদর্শন করা হলেও কিছু প্রার্থী স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
ঘোষিত ফলাফলে অন্যান্য পদে বিজয়ীরা হলেন- কোষাধ্যক্ষ খন্দকার আব্দুর রহিম, ক্রীড়া সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. মারুফ এবং সহ-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক লীশা চাকমা। এছাড়া দপ্তর সম্পাদক হয়েছেন শারমিন আক্তার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস এবং সমাজকল্যাণ ও ক্যান্টিন সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো. মনোয়ার হোসেন অন্তর।
অনুষদভিত্তিক আসনে কৃষি অনুষদে বিজয়ী হয়েছেন মহিউল আলম দোলন এবং ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদে মো. হুমায়ুন কবির। কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে চারজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন- শাকিল আহমেদ, মো. সেলিম আহমেদ অলি, মো. মেহেদি হাসান ও মিনতুজ আক্তার মিম। বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদে নির্বাচিত হয়েছেন মেহেরুন খিলজি মিতু ও মো. ইমদাদুল হক মিলন। স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদে বিজয়ী হয়েছেন নাশরুন সেঁজুতি অরণি ও পার্থ সরকার।
প্রসঙ্গত, দেশের একমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ কার্যক্রম চালু রয়েছে। ২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো গকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ২০১৮ সালে সরাসরি ভোটে তৃতীয় সংসদ গঠিত হলেও প্রশাসনিক জটিলতায় সেটি পূর্ণ মেয়াদে কাজ করতে পারেনি। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংসদটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর পাঁচ বছর স্থবির থাকার পর এবারের চতুর্থ গকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো।
ভিওডি বাংলা/জা