গ্রেপ্তারের ভয়ে আকাশসীমা এড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন নেতানিয়াহু


ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন। এ সময় তিনি ইউরোপের আকাশসীমা এড়িয়ে অস্বাভাবিক একটি ভ্রমণ রুট বেছে নিয়েছেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার আগে তার এই ভিন্নধর্মী ভ্রমণ রুট আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু নিউইয়র্ক যাওয়ার পথে ইউরোপের আকাশসীমা এড়িয়ে একটি অস্বাভাবিক রুট বেছে নিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে জারি হওয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থেকে বাঁচতেই তিনি এই পথ বেছে নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে যোগ দিতে যাত্রা করার সময় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি উড়োজাহাজ ‘উইংস অব জায়ন’ ইউরোপীয় আকাশসীমা এড়িয়ে উড্ডয়ন করে।
গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। আর সেই জটিলতা এড়াতেই এ পথ অনুসরণ করে নেতানিয়াহুর ফ্লাইট। যদিও এসব অভিযোগ ইসরায়েল দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করে আসছে।
ইউরোপের বেশ কয়েকটি আইসিসি সদস্য রাষ্ট্র প্রকাশ্যে জানিয়েছে, নেতানিয়াহু তাদের ভূখণ্ডে প্রবেশ করলে তাকে আটক করবে। ফলে বিমানকে জোর করে নামানোর পরিস্থিতি এড়াতেই ইউরোপের আকাশসীমা এড়িয়ে যাওয়ার পথ বেছে নেওয়া হয়েছে বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা।
প্রচলিতভাবে যুক্তরাষ্ট্রগামী ইসরায়েলি ফ্লাইটগুলো মধ্য ইউরোপের উপর দিয়ে যায়, যার মধ্যে ফরাসি আকাশসীমাও রয়েছে। কিন্তু এবার নেতানিয়াহুর বিমান দক্ষিণমুখী একটি পথ ধরে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে জিব্রাল্টার প্রণালী হয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে প্রবেশ করে। এতে ভ্রমণপথ প্রায় ৬০০ কিলোমিটার (৩৭৩ মাইল) দীর্ঘ হয়েছে।
কিছু ইউরোপীয় দেশ নেতানিয়াহুর প্রবেশে গ্রেপ্তারের হুমকি দিয়েছে। আয়ারল্যান্ড স্পষ্ট জানিয়েছে, তারা তাকে গ্রেপ্তার করবে, স্পেন আইসিসি তদন্তে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে ফ্রান্স জানিয়েছে, তারা নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করবে না, আর ইতালি এ ধরনের পদক্ষেপ কার্যকর কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
ভিওডি বাংলা/জা