বাঘায় সেতুর অভাবে ১৫ চরের মানুষের দুর্ভোগ


রাজশাহীর বাঘায় একটি সেতুর জন্য পদ্মার চকরাজাপুর ইউনিয়নের ১৫টি চরের মানুষ দুর্ভোগে রয়েছেন। পদ্মা নদীর ক্যানেলের উপর একটি সেতু নির্মাণ করা হলে অতিসহজে উপজেলা সদরের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করতে পারবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পদ্মা নদীর ক্যানেলের উপর শিমুলতলাঘাট, চাঁদপুরঘাট, পালপাড়াঘাট, সরেরহাটঘাট, খায়েরহাট ক্লাবেরঘাট, খায়েরহাট হালিম মাস্টারেরসহ ছয়টি ঘাট রয়েছে। এই ঘাটের যে কোনো স্থানে একটি সেতু নির্মাণ করা হলে ১৫টি চরের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ সহজেই উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে পারবেন।
পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়ন। এখানে চকরাজাপুরচর, কালীদাসখালীচর, লক্ষ্মীনগরচর, দাদপুরচর, উদপুরচর, পলাশী ফতেপুরচর, ফতেপুর পলাশীচরসহ ১৫টি চর রয়েছে। এই চরের মানুষ বর্ষা মৌসুমে নৌকা আর শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকো আবার কখনও পায়ে হেঁটে পারাপার হন। নৌকায় পার হতে গিয়ে অনেকেই পদ্মায় নিখোঁজ হয়েছেন, আবার অনেকেই মারাও গেছেন।
পদ্মার মধ্যে ৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থাকলেও কোনো উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ নেই। এ কারণে সেখানকার শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক পাস করার পর যোগাযোগব্যবস্থার অভাবে লেখাপড়াই বন্ধ করে দেয়। যারা লেখাপড়া করেন তাদের অনেক কষ্টে উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হয়।
চরে চাষ হওয়া বিভিন্ন কৃষিপণ্য স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেও বিক্রি হয়। যাতায়াত ব্যবস্থার অভাবে এসব উৎপাদিত কৃষিপণ্য খুব কম দামে সেখানেই ফড়িয়াদের কাছে বিক্রি করতে হয় চাষিদের।
এ বিষয়ে দাদপুর চরের সাবেক মেম্বর রেজাউল করিম বলেন, সেতুর অভাবে এখানে উৎপাদিত কৃষিপণ্য সঠিকভাবে বাজারজাত করা সম্ভব হয় না। এখানে যাতায়াতের জন্য একটি সেতু নির্মাণ করা হলে চরের মানুষ কৃষিপণ্য সঠিকভাবে বাজারজাত করাসহ সাধারণ মানুষও নিরাপদ যাতায়াত করতে পারবেন।
উপজেলা প্রকৌশলী বেলাল হোসেন বলেন, খায়েরহাট হালিম মাস্টারের ঘাটে ৬০০ মিটার একটি সেতুর জন্য কাগজপত্র মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করা আছে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ