বারবার হাতছাড়া ৫৯ আসন: কী ভাবছে বিএনপি?


প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে বরাবরই জনপ্রিয় বিএনপি। দুইশর বেশি আসন অথবা ন্যূনতম ব্যবধানেও সরকার গঠন করেছে কয়েকবার। তবুও অন্তত ৫৯টি আসনে সাফল্যের তুলনায় হতাশা সঙ্গী হচ্ছে দলটির। ১৯৯১ থেকে ২০০৮ এর মধ্যে চারটি সংসদ নির্বাচনে এসব আসনে ধানের শীষের প্রার্থীরা হেরেছেন বারবার।
উত্তরাঞ্চলে জাতীয় পার্টির দুর্গখ্যাত রংপুরের ৬টি আসন, কুড়িগ্রামের ১, ২, ৩, ৪; গাইবান্ধার ২, ৩, ৫; নীলফামারী ১ ও ২; দিনাজপুর ৫, ঠাকুরগাঁও ২ ও ৩; লালমনিরহাট ১ ও ২-এ বিএনপি জয়ের স্বাদ পায়নি।
ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, টাঙ্গাইল ও গাজীপুরের বেশ কিছু আসনেও দল পরাজিত হয়েছে। সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট ও সুনামগঞ্জের নয়টি আসনেও জয় সুনিশ্চিত হয়নি।
বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, “১৯৯১ থেকে ২০০১ পর্যন্ত এই অঞ্চলে রাজনৈতিক আবেগের কারণে আমাদের প্রার্থীরা জয়ী হতে পারেনি। তবে আবেগ সবসময় সঠিক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত দেয় না।”
ফরিদপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকে বিশেষ করে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও শরীয়তপুরে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। সেই কারণে মানুষকে অতিরিক্ত চাপ ও হয়রানিতে থাকতে হয়েছে।”
সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ বলেন, “নয়টি আসনে আমাদের সাংগঠনিক দুর্বলতা ছিল। এবার আমরা তা দূর করেছি।”
ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি জনবান্ধব কর্মসূচি ও তৃণমূলের সক্রিয়তা বাড়াতে মনোযোগ দিচ্ছে। আসাদুল হাবিব দুলু আরও বলেন, “এই অঞ্চলের মানুষ বিএনপির নেতৃত্বে আন্দোলনে সক্রিয়। প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য জরিপও সম্পন্ন হয়েছে।”
জি কে গউছ বলেন, “মাঠে পাঠানো টিম সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছে। এমন প্রার্থী মনোনয়ন পাবেন, যিনি নির্বাচিত হলে মানুষের স্বস্তি আনবেন।”
সেলিমুজ্জামান সেলিম আশা প্রকাশ করেছেন, “আগামী নির্বাচনে গোপালগঞ্জ কেবল এক দলের দুর্গ নয়, বিএনপির প্রার্থী জয়ী হবেন।”
এই আসনগুলো নিজেদের করে নিতে উদগ্রীব তৃণমূলের কর্মীরা। সারাদেশের অন্য আসনগুলোর পাশাপাশি এগুলোর পরিকল্পনায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বিশেষ দৃষ্টি দেবে, এমন প্রত্যাশা তাদের।
ভিওডি বাংলা/জা