পূজার ছুটি শুরুর আগেই কক্সবাজারে পর্যটকের ভিড়


শারদীয় দুর্গাপূজার মহানবমী উপলক্ষে সরকার ১ অক্টোবর (বুধবার) থেকে ছুটি ঘোষণা করেছে। পরদিন বিজয়া দশমী (২ অক্টোবর) ও সাপ্তাহিক ছুটি ৩-৪ অক্টোবর মিলিয়ে সরকারি কর্মচারীরা চার দিন (১-৪ অক্টোবর) ছুটিতে থাকবেন।
টানা ছুটি শুরুর আগেই পর্যটকরা কক্সবাজারের কলাতলী, লাবণী ও সুগন্ধা সৈকতে পৌঁছাতে শুরু করেছেন। ঢাকার মিরপুর থেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা ব্যাংক কর্মকর্তা সায়েমুল হক বলেন, “কক্সবাজার দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন স্পট। সুযোগ পেলেই এখানে আসি। পরিবারের সবাই মিলে মজা করছি।”
সূত্র জানিয়েছে, প্রায় সব হোটেলে অগ্রিম বুকিং শেষ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির নেতা আবুল কাশেম সিকদার বলেন, “পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুসরণ করছি।”
এদিকে, সাগরে সংকেত জারি থাকায় সমুদ্র বেশ উত্তাল। এ অবস্থায় সৈকতে গোসলে নামার সময় নির্দেশনা অনুসরণের অনুরোধ জানিয়েছেন সী-সেইফ লাইফ গার্ডের মাঠ কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ। তিনি বলেন, সমুদ্র উত্তাল রয়েছে এবং গুপ্তখালও তৈরি হয়েছে। তাই ঝুঁকি এড়াতে লাইফ গার্ডদের নির্দেশনা মেনে চলা জরুরি। যেসব স্থানে লাল পতাকা রয়েছে, সেখানে সতর্কতার সঙ্গে গোসল করতে হবে। প্রয়োজনে লাইফ গার্ড সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করে নামতে হবে। অতিউৎসাহী হয়ে সমুদ্রে নামা যাবে না।
ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, চলতি পর্যটন মৌসুমে কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পর্যটকরা যেন কোনো ভোগান্তিতে না পড়েন, সে বিষয়েও নজর রাখা হচ্ছে।
এদিকে দুর্গাপূজা উপলক্ষে যাত্রীদের বাড়তি চাপ সামাল দিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে ‘পূজা স্পেশাল’ নামে ৪ জোড়া ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ৩ জোড়া এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ১ জোড়া ট্রেন চলবে।
ভিওডি বাংলা/জা