পুঁজিবাজারে সাপ্তাহিক লেনদেন কমেছে ১৭ শতাংশ


গত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের গড় পরিমাণ প্রায় ১৭ শতাংশ কমেছে। যদিও সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে ৩ দিনই বাজার ঊর্ধ্বমুখী ছিল, তবুও সূচক ও অধিকাংশ শেয়ার দরপতনের মুখোমুখি হয়েছে।
ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩৫ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৪১৫ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। ৩০টি নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৪ পয়েন্টে ২ হাজার ১০৩ পয়েন্টে, আর শরীয়াহ কোম্পানিগুলোর সূচক ডিএসইএস ৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৭১ পয়েন্টে এসেছে।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯৫টি শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৩৯টির দর বেড়েছে, ২১৯টির কমেছে এবং ৩৭টির অপরিবর্তিত রয়েছে। দৈনিক গড় লেনদেন দাঁড়িয়েছে ৫৮৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকায়, যা আগের সপ্তাহের ৭০১ কোটি ৭ লাখ টাকার তুলনায় ১৬.৭৩ শতাংশ কম। সপ্তাহজুড়ে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৯১৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, আগের সপ্তাহের ৩ হাজার ৫০৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকার তুলনায় কমেছে ৫৮৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
সেক্টরভিত্তিক লেনদেনে বস্ত্র খাত শীর্ষে, দৈনিক গড় ৯০ কোটি ২৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। এর পরে ওষুধ ও রসায়ন খাতের লেনদেন দৈনিক গড় ৮৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং ব্যাংক খাতের ৬২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। প্রকৌশল খাত ও বিবিধ খাত যথাক্রমে ৪৭ কোটি ৪৬ লাখ ও ৪১ কোটি ২০ লাখ টাকার লেনদেনে অবদান রেখেছে।
মোট বাজার মূলধন সামান্য কমে সপ্তাহ শেষে ৭ লাখ ২৩ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা হয়েছে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৭ লাখ ২৪ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা, অর্থাৎ ১ হাজার ১৮ কোটি টাকা হ্রাস পেয়েছে।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সব সূচক কমেছে, তবে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। প্রধান সূচক সিএএসপিআই ও সিএসসিএক্স যথাক্রমে ১.৬২ শতাংশ ও ১.৫০ শতাংশ কমে যথাক্রমে ১৫ হাজার ৮৯ ও ৯ হাজার ২৭৮ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। সিএসআই ও সিএসই-৩০ সূচক কমেছে যথাক্রমে ১.২৬ শতাংশ ও ১.৪৩ শতাংশ। সিএসই-৫০ সূচক ১.৪৭ শতাংশ কমে ১ হাজার ১৪৫ পয়েন্টে এসেছে।
গত সপ্তাহে সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৮০ কোটি ৩ লাখ টাকা, আগের সপ্তাহের ৬৭ কোটি ৬ লাখ টাকার তুলনায় বেড়েছে ১২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। সপ্তাহজুড়ে ৩১৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যার মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৬টির, কমেছে ২১৫টির এবং ২৪টির অপরিবর্তিত রয়েছে।
ভিওডি বাংলা/জা