মানিকগঞ্জে বিয়ের দাবিতে বাড়িতে উঠায় মেয়েকে বেধড়ক মারধর


মানিকগঞ্জ সাটুরিয়া উপজেলা দক্ষিণপাড় তিল্লী গ্রামের আজিমের ছেলে মোঃ শান্ত ইসলাম আমিনুর বিরুদ্ধে মিম আক্তার নামের মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষন করার অভিযোগ উঠেছে। পরবর্তীতে আমিনুর মিমকে বিয়ে করার জন্য অস্বীকৃতি জানালে উপায়ান্ত না পেয়ে ভুক্তভোগী মিম আক্তার ২৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিয়ের দাবিতে আমিনুরের বাড়িতে উঠলে তার বাবা আজিম ও তার মা তাকে বেধড়ক মারধর করে তারিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে ।
এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এ নিয়ে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।ভুক্তভোগী মিম আক্তারের মা সাহিদা আক্তার ন্যায় বিচার পাওয়ার লক্ষ্যে মোঃ শান্ত ইসলাম আমিনুর সহ তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সাটুরিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী মিম আক্তারের মা সাহিদা আক্তার জানান,আমার মেয়ে মিম আক্তার মানিকগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজে পড়ে। কলেজ যাওয়ার পথিমধ্যে আমিনুর নামের ছেলেটি আমার মেয়েকে ফুঁসলিয়ে ফাঁসলিয়ে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। আমার স্বামী নেই। মেয়েটি এতিম। চলতি বছরের জুন মাসের ১৪ তারিখে আমিনুর আমার মেয়েকে চর তিল্লী তার বন্ধু জিহাদের বাড়িতে স্ত্রী পরিচয়ে নিয়ে যায় এবং সেখানে আমার মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে একাধিকবার ধর্ষন করে। আগষ্ট মাসে নাহার গার্ডেনে নিয়ে গিয়েও আমিনুর আমার মেয়েকে তার ইচ্ছার ধর্ষন করে। বিষয়টি উভয় পরিবারের মধ্যে জানাজানি হলে আমার মেয়ে মিম বিয়ের জন্য আমিনুরকে জোড় তাগিদ দেন। আমিনুর এতে অস্বীকৃতি জানালে উপায়ান্ত না পেয়ে আমার মেয়ে মিম,২৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে বিয়ের দাবিতে বাড়িতে উঠলে আমিনুরের বাবা আজিম ও তার মা আমার মেয়েকে লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেধড়ক মারধর করে, তারিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে আমি আমার ছেলে ও আত্নীয় স্বজন নিয়ে ছুটে যাই। আমার মেয়েকে কেন মারা হয়েছে এ কথা বলেল আজিম আমাকে সহ আমার ছেলেকে মারতে আসে। বিস্তারিত ঘটনা শুনে স্থানীয় এলাকাবাসী আমিনুরের সাথে আমার মেয়ে মিমকে বিয়ে দেয়ার কথা বলে।
আমিনুরের বাবা আজিম এতে অস্বীকৃতি জানান এবং মেয়েকে মেরে ফেলে লাশ ঘুম করা হবে বলে হুমকি দেয়। পরবর্তীতে আমি আমার মেয়েকে স্থানীয় এলাকাবাসীর সহায়তায় চিকিৎসার জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি। আমি এখন আমার মেয়েকে ধর্ষণ ও শারীরিকভাবে আঘাত করার বিচার চাই। সেই কারনেই আমি অভিযুক্ত মোঃ শান্ত ইসলাম আমিনুর তার বাবা আজিম ও তার মাকে আসামি করে সাটুরিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মোঃ শান্ত ইসলাম আমিনুর বাবা আজিমকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে এড়িয়ে যায়।
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহীনুল ইসলাম জানান,এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে, একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ