জাতিসংঘের মঞ্চে উঠতেই অপমানিত নেতানিয়াহু


যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) তিনি ভাষণ দিতে মঞ্চে উঠতেই মিলনায়তন ছেড়ে বেরিয়ে যান উপস্থিত রাষ্ট্রদূত ও কূটনৈতিক মিশনের প্রতিনিধিদের বড় একটি অংশ। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে এই পদক্ষেপকে ‘নীরব অপমান’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। খবর আল জাজিরার।
প্রায় ফাঁকা মিলনায়তনে ক্ষুব্ধ নেতানিয়াহু বলেন, “ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে আপনারা আসলে ইহুদি হত্যাকে সমর্থন করছেন। একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র আমাদের গলায় ছুরি ধরে থাকবে-তা আমরা মেনে নেব না।”
ইউরোপীয় দেশগুলোর সমালোচনা করে তিনি আরও অভিযোগ করেন, ইহুদিবিরোধী প্রচারণা ও পক্ষপাতদুষ্ট মিডিয়ার মুখোমুখি হওয়ার সাহস তাদের নেই। ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়ে তারা হামাসকে পুরস্কৃত করছে এবং ইসরায়েলকে বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
এর আগে, গত ২২ সেপ্টেম্বর ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করতে বৈশ্বিক এক সম্মেলন হয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে। ফ্রান্স এবং সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সেই সম্মেলনের সময় এবং তার আগে ও পরে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে ফ্রান্স, বেলজিয়াম, পর্তুগাল, যুক্তরাজ্য, লুক্সেমবার্গসহ বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ। সম্মেলনে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে জাতিসংঘের প্রস্তাবতি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়ন এবং পশ্চিম তীর অঞ্চলে ইসরায়েলের দখল কার্যক্রম বন্ধের দাবিও উঠেছে বেশ জোরেশোরে।
প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নিষ্ঠুর অভিযান বন্ধে দুই বছরে আন্তর্জাতিক মহল থেকে বহুভাবে চাপ দেওয়া হয়েছে নেতানিয়াহু, কিন্তু একবারের জন্যও তিনি অভিযান বন্ধের নির্দেশ দেননি।
নেতানিয়াহুর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিম তীরে ক্ষমতাসীন ফিলিস্তিন সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আদেল আতিয়েহ বলেন, “জাতিসংঘে নেতানিয়াহুর এই ভাষণ একজন পরাজিত মানুষের জবানবন্দি।”
ভিওডি বাংলা/জা