গোয়ালন্দে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত


একটা লক্ষ্য, হতে হবে দক্ষ” এই স্লোগানকে সামনে রেখে কারিগরি শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তি বিকাশের লক্ষ্যে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন-২০২৫’।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গোয়ালন্দ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের উদ্যোগে এবং ASSET (Accelerating and Strengthening Skills for Economic Transformation) প্রকল্পের আওতায় কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীনে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর বাস্তবায়িত এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নাহিদুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কমিউনিকেশন কনসালট্যান্ট (ASSET Project) মো. জিল্লুর রহমান।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা ১০টি উদ্ভাবনী প্রকল্প প্রদর্শন করেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ভূমিকম্প ও বজ্রপাত নিরোধী ইমারত নির্মাণ, স্বয়ংক্রিয় দ্রবীভূত অক্সিজেন বর্ধন, হাইড্রলিক রিজেনারেটিভ ব্রেকিং সিস্টেম, পরিকল্পিত গ্রীন সিটি: প্রযুক্তি ও উন্নয়নের সেতুবন্ধন, সবুজ শক্তি ও স্মার্ট জীবন, টেকসই গ্রামীণ উন্নয়ন, হাইড্রো-ইলেকট্রিক পাওয়ার প্লান্ট, স্বয়ংক্রিয় ফায়ার অ্যালার্ম সিস্টেম, বিকল্প পদ্ধতিতে গ্যাস উৎপাদন, স্মার্ট ওয়াটার ট্যাপ।
গোয়ালন্দ ইউএনও মো. নাহিদুর রহমান এবং কমিউনিকেশন কনসালট্যান্ট মো. জিল্লুর রহমানসহ অতিথিরা প্রতিযোগিতার প্রতিটি স্টল ঘুরে দেখেন এবং শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী প্রযুক্তি নিয়ে কথা বলেন।
অনুষ্ঠান চলাকালে অতিথিরা শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী চিন্তাধারার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তাদের গবেষণা ও উদ্ভাবনে আরও অগ্রসর হওয়ার আহ্বান জানান।
গোয়ালন্দের ইউএনও বলেন, “কারিগরি শিক্ষার্থীদের এই উদ্ভাবন ভবিষ্যতের প্রযুক্তি ও উন্নয়নের পথ দেখাবে। সরকারও প্রযুক্তি শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
কমিউনিকেশন কনসালট্যান্ট, মো. জিল্লুর রহমান বলেন, “গ্রামীণ পর্যায়েও শিক্ষার্থীদের এমন উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা আয়োজন ভবিষ্যতের দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে সহায়ক হবে।”
পরে কলেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সুলতানা মেহেরুন জামান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাণ-আরএফএল প্লাস্টিক লিমিটেডের এজিএম মো. আবু জাহিদ এবং গোয়ালন্দ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার দাস।
বক্তারা শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী কাজের প্রশংসা করেন এবং প্রযুক্তি শিক্ষায় আরও উৎসাহী হওয়ার আহ্বান জানান।
তারা বলেন, “স্থানীয় পর্যায়ে প্রযুক্তি শিক্ষার প্রসারে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ একটি বড় ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছে।”
প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার ও সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়।
এতে প্রথম পুরস্কার অর্জন করে ‘পরিকল্পিত গ্রীন সিটি: প্রযুক্তি ও উন্নয়নের সেতুবন্ধন, সবুজ শক্তি ও স্মার্ট জীবন, টেকসই গ্রামীণ উন্নয়ন’ টিম। দ্বিতীয় পুরস্কার পায় ‘বিকল্প পদ্ধতিতে গ্যাস উৎপাদন’ টিম। তৃতীয় পুরস্কার লাভ করে ‘স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে পানি ও অক্সিজেন সরবরাহ’ টিম।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ