রাজবাড়ীতে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালন


পরিবেশের তথ্য ডিজিটাল যুগে হোক সুনিশ্চিত” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাজবাড়ীতে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস-২০২৫ উদ্যাপন উপলক্ষে র্যালি, আলোচনা সভা ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা প্রশাসন ও সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), রাজবাড়ীর যৌথ উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
র্যালিতে জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শংকর চন্দ্র বৈদ্যসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
এছাড়াও র্যালি শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শংকর চন্দ্র বৈদ্য এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সনাক রাজবাড়ীর সদস্য ও সাংবাদিক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
সভায়, প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু রাসেল, সনাক রাজবাড়ীর সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. নুরজ্জামান, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান, জেলা তথ্য কর্মকর্তা রেখা ইসলাম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদুল হক প্রমুখ।
এছাড়াও সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারিয়া হক, টিআইবি রাজবাড়ীর এরিয়া কো-অর্ডিনেটর মাসুদ আহমেদসহ আরও অনেকে।
এসময়, বক্তারা বলেন, তথ্য জানার অধিকার মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার। বিশেষ করে পরিবেশ সুরক্ষায় তথ্যের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডিজিটাল যুগে পরিবেশ বিষয়ক তথ্য সহজলভ্য হওয়ায় সচেতনতা বৃদ্ধি পায় এবং নীতিনির্ধারণে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
বক্তারা আরও বলেন, জনগণ যদি তথ্য জানার অধিকার যথাযথভাবে প্রয়োগ করে, তবে দুর্নীতি হ্রাস পাবে এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা সহজ হবে। এজন্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তথ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে।
তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, কিছু ব্যক্তি অবান্তর তথ্য চেয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি ও ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা করেন, যা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং প্রশাসনের জন্যও কষ্টদায়ক।
অনুষ্ঠান শেষে জেলার ৬৭টি সরকারি দপ্তরের মধ্যে তথ্য বাতায়নে শতভাগ হালনাগাদ তথ্য রাখার স্বীকৃতি হিসেবে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ ১৯টি দপ্তরের প্রধানের হাতে সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ